মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি: শনিবার (৮ মার্চ) মাছ শিকারের জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা শিকারিদের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত হয়। সংঘর্ষের দুই দিন পর নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলার ধনু নদী থেকে তিনটি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার বিকালে উপজেলার নাওটানার পাশে ধনু নদী থেকে লাশগুলো উদ্ধার করা হয় বলে খালিয়াজুরী থানার ওসি মকবুল হোসেন জানান।
নিহতরা হলেন, কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইল বাড়ি গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে হৃদয় মিয়া (২৯), আটপাড়া উপজেলার স্বরমুশিয়া গ্রামের রোস্তম আলীর ছেলে শহীদ মিয়া (৫০) এবং মদন উপজেলার বাগজান গ্রামের আব্দুল কদ্দুছের ছেলে রোকন মিয়া (৫২)।
শনিবার খালিয়াজুরী উপজেলার দুটি জলমহালের মাছ লুটের চেষ্টা হয়েছিল বলে ইজারাদাররা অভিযোগ করেন। বিভিন্ন এলাকা থেকে শতাধিক পরিবহনে করে হাজারো মানুষ সরকারি ইজারাকৃত কাঁঠালজান ও মরাগাঙে মাছ ধরার জন্য ধনু নদীর পাড়ে জড়ো হন। শিকারিদের হাতে ছিল মাছ ধরার উপাদান ও বাঁশের লাঠি। এলাকাবাসী তাদের প্রতিরোধ করতে গেলে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।
এ সময় রসূলপুর ফেরিঘাটে বিক্ষুব্ধ জনতা শিকারিদের শতাধিক গাড়ি ভাংচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। উভয় পক্ষের প্রায় অর্ধশত লোকজন আহত হন। উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনার পর থেকে কয়েকজন নিখোঁজ ছিলেন বলে তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবী করা হয়েছিল।
ওসি মকবুল হোসেন জানান, শনিবার সংঘর্ষের সময় ওই তিনজন নদী সাঁতরে পর হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু পার হতে না পেরে তারা ডুবে মারা যান। পরিবারের অভিযোগ পাওয়ার পর থেকেই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স তাদের ডুবুরী দলের সাহায্যে নিখোঁজদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছিল। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। থানায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওসি আরো জানান, এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা কাজ করছেন।