ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের হামলাকে ‘একতরফা পদক্ষেপ’ বলে অভিহিত করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তার দাবি, এ ঘটনার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র জড়িত নয়।একই সঙ্গে তিনি ইরানকে এই অঞ্চলে আমেরিকান ঘাঁটিতে হামলার বিরুদ্ধেও সতর্ক করেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
এক বিবৃতিতে মার্কো রুবিও বলেন, ‘আমরা ইরানের বিরুদ্ধে হামলায় জড়িত নই এবং আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হলো এই অঞ্চলে আমেরিকান বাহিনীকে রক্ষা করা।’
তিনি বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই: মার্কিন স্বার্থ বা কর্মীদের লক্ষ্যবস্তু করা উচিত নয় ইরানের।’
রুবিওর বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছে যে তাদের এই পদক্ষেপটি ‘আত্মরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয়’ ছিল।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং প্রশাসন আমাদের বাহিনীকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নিয়েছে এবং আমাদের আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রেখেছে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার ভোরে ইরানের একাধিক পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় ইসরায়েলের বিমানবাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়। এতে ইরানের রাজধানী তেহরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
যদিও এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে ইসরায়েলি অভিযান থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ‘শিশুদের হত্যা’ করা এই হামলায় ওয়াশিংটন ‘জড়িত’ ছিল বলে অভিযোগ করেছে।
ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলেছে, অপারেশন ‘রাইজিং লায়ন’ নামে পরিচিত ইসরায়েলি হামলাগুলো ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এবং অন্যান্য সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছিল।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরানের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম ‘অস্ত্রীকরণ’ করার অব্যাহত আন্দোলনের কারণে এই আক্রমণটি প্রয়োজনীয় ছিল এবং ‘ইসরায়েলের বেঁচে থাকার জন্য’ এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ইসরায়েল জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে জানিয়ে নেতানিয়াহু আরও বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে হামলা ‘যতদিন সময় লাগে ততদিন অব্যাহত থাকবে’।