ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ত্রিশালে এ আই পদ্ধতিতে মাছ চাষ কার্যক্রমে ব্যাপক সাফল্যের পর এবার দ্বিতীয় প্রকল্প হিসেবে উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে পরিষদের সরকারি পুকুরে ৪০ শতাংশ জমিতে আনুষ্ঠানিকভাবে মাছ চাষ শুরু হয়েছে।
সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করে দ্বিতীয় প্রকল্পের উদ্বোধন করেন ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার মো. মোখতার আহমেদ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল বাকিউল বারী, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুবুর রহমান, ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আহাম্মদ, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শামসুজ্জামান মাসুম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. শহিদুল্লাহ, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।
এর আগে উপজেলার কানিহারী ইউনিয়নের একটি সরকারি পুকুরে এ আই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে ব্যাপক সফলতার দাবি করে উপজেলা প্রশাসন। এরই প্রেক্ষিতে উপজেলা পরিষদের সরকারি পুকুরটি পুনরায় খনন করে দ্বিতীয় প্রকল্প হিসেবে মাছ চাষের জন্য উপযুক্ত করা হয়।
জানা গেছে, এ পদ্ধতিতে ভার্টিকাল এক্সপানশন গভীর পানির স্তর ব্যবহার করে একই পুকুরে বেশি মাছ চাষ করা হয়। এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করতে এগিয়ে আসার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও মৎস্য চাষীদের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।
এই পাইলট প্রকল্পের কারিগরি পরামর্শক রনি সাহা ব্যাপক সফলতার কথা জানিয়ে বলেন, অত্যাধুনিক অ্যাকুয়া কালচার ৪.০ প্রযুক্তি ও বিদ্যমান পুকুরে ভার্টিক্যাল এক্সপানশন পদ্ধতির সমন্বিত ব্যবহারে ১৮ থেকে ২০ ফুট গভীরতার পুকুরে শতাংশে ১ হাজার ২শ পাঙ্গাশ মাছ পালন করা যায়; যা সাধারণের তুলনায় পাঁচগুণ বেশি। অল্প জমিতে বেশি মাছ চাষ করার পাশাপাশি সাশ্রয় হয় খাবার, কায়িক শ্রমের ব্যবহার ও ফলন পাওয়া যায় তুলনামূলক কম সময়ে। পুকুরের পানির গুণগত মান নিয়ন্ত্রিত থাকায় এই পদ্ধতিতে চাষকৃত মাছ স্বাদেও হয় অনন্য।