দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রথম পাতার খরব ‘মব সৃষ্টি করে ১০ মাসে ১৭২ জনকে হত্যা’। প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানীর দারুস সালামের দ্বীপনগর এলাকায় গত ৩১ মে মাইকিং করে তানভীর ও ফাহিম নামের দুই তরুণকে পিটিয়ে হত্যা করে স্থানীয়রা। স্থানীয়সহ পুলিশের দাবি, নিহতরা মাদক কারবারি। এ কারণে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁদের পিটিয়ে হত্যা করে। পরদিন একই এলাকা থেকে রাসেল নামের এক কিশোরের রাস্তায় পড়ে থাকা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
দারুস সালাম জোনের সহকারী কমিশনার ইমদাদ হোসেন জানিয়েছেন, নিহত তানভীর ও ফাহিম মানুষকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছিলেন, স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে পিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তাঁরা মারা যান। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছে দারুস সালাম থানা-পুলিশ।
শুধু রাজধানীর দারুস সালাম নয়, গত ১০ মাসে দেশের আট বিভাগে ১৭২ জনকে এভাবে বিভিন্ন অপবাদ দিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। সংস্থাটির তথ্য বলছে, কোথাও চোর-ছিনতাইকারী-চাঁদাবাজ এবং কোথাও ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সহযোগী ও দোসর অপবাদ দিয়ে মব সৃষ্টি করে এসব মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে মামলাও ছিল না। আসকের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত আগস্ট থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ১৭২ জনকে আট বিভাগে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তাদের মধ্যে ঢাকায় ৮০ জন, চট্টগ্রামে ২৮ জন, বরিশাল ও রাজশাহীতে ১৬ জন করে, খুলনায় ১৪ জন, রংপুরে ৭ জন, ময়মনসিংহে ৬ জন এবং সিলেটে ৫ জনকে হত্যা করা হয়। মবের সৃষ্টি করে সবচেয়ে বেশি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে গত বছরের সেপ্টেম্বরে। ওই মাসে ২৮ জনকে হত্যা করা হয়।
মব সৃষ্টি করে মানুষ মারা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড এবং গুরুতর অপরাধ বলে উল্লেখ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান। তিনি বলেন, এটি পরিকল্পিত ও ইচ্ছাকৃত হত্যাকাণ্ড। আর যারা এতে অংশ নেয়, তারা সবাই সমানভাবে দায়ী থাকে। বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা অনুযায়ী ইচ্ছাকৃত হত্যা—শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কী করছে আইন নিজের হাতে না তুলে নিতে পুলিশ ও সরকারের পক্ষ থেকে বারবার অনুরোধ করা হলেও মব ও গণপিটুনি প্রতিরোধ করতে পারছে না। তবে এবার কঠোর হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সেনাবাহিনী। সম্প্রতি কিছু ঘটনা প্রতিহত করেছে পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনী। গত ১৬ মে ধানমন্ডিতে একজন প্রকাশককে ধরতে মব সৃষ্টি করেন কিছু যুবক। তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশকে চাপ দেয় তারা, তবে ধানমন্ডি থানার ওসি ক্যশৈন্যু মারমার দৃঢ়তায় সেই মব প্রতিরোধ করা হয়। এ ছাড়া সম্প্রতি ঢাকা, রংপুর, সিলেট ও চট্টগ্রামেও কিছু মব প্রতিরোধ করে পুলিশ ও সেনাবাহিনী।
এদিকে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মব সৃষ্টি না করার জন্য হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। কোনো ব্যক্তি অন্যায় বা অপরাধ করলে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ অথবা নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করতে বলেছে পুলিশ সদর দপ্তর। পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি ইনামুল হক সাগর বলেন, যেকোনো মবের বিরুদ্ধে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া আছে। কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারবে না।
রণদা প্রসাদ সাহা (আর পি সাহা) বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও মানবাধিকার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী লতিফুর রেজা বলেন, ‘কোনো সভ্য সমাজে বিচারব্যবস্থার বাইরে গিয়ে কাউকে হত্যা করা ন্যায়সংগত হতে পারে না। এটা আমাদের মানবিক মূল্যবোধকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে।’
কাজী লতিফুর রেজা গণপিটুনির ঘটনা বন্ধ করার প্রক্রিয়ার বিষয়ে উল্লেখ করে বলেন, জনসচেতনতা বৃদ্ধি, গুজব রোধে দ্রুত তথ্য যাচাই ও ছড়িয়ে দেওয়া, কড়া আইন প্রয়োগ, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে।
প্রথম আলো
দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম ‘ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট, একমত ইউনূস ও তারেক’। খবরে বলা হয়, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের সময় নির্ধারণ নিয়ে রাজনীতিতে টানাপোড়েন যেভাবে অনিশ্চয়তার দিকে যাচ্ছিল, লন্ডন বৈঠকে তা অনেকটা কেটেছে।
গতকাল শুক্রবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এই বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতিতে ঘোষণা আসে, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে আগামী বছরের রমজান মাসের আগে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন হতে পারে। এর মধ্য দিয়ে লন্ডন বৈঠক নিয়ে দেশে যে কৌতূহল ও উৎকণ্ঠা ছিল, সেটার সমাপ্তি ঘটেছে।
চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছিল বিএনপিসহ বিভিন্ন দল। এর মধ্যেই ৬ জুন ঈদুল আজহার আগের দিন জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে সরকারপ্রধানের এই ঘোষণা বিএনপি মেনে নিতে পারেনি। এ নিয়ে দলটির নেতারা প্রকাশ্যেই অসন্তুষ্টির কথা জানান। অবশ্য সরকার–ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে জানা গেছে, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের সময় নির্ধারণের জন্য উপদেষ্টাদের কেউ কেউ জাতির উদ্দেশে ভাষণের আগে অধ্যাপক ইউনূসকে পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি এপ্রিলকে উপযুক্ত মনে করেছিলেন।
জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণের এক সপ্তাহের মাথায় লন্ডন বৈঠকে নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে নতুন ঘোষণা এল। ধারণা করা হচ্ছে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে ভোট হতে পারে।
যুগান্তর
‘কেটে যাবে সংকট ও আস্থার ঘাটতি’-এটি দৈনিক যুগান্তরের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেড় ঘণ্টার বৈঠককে ইতিবাচক বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। শুক্রবার লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে ৯০ মিনিটের এই বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকার ও দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলের মধ্যে সৃষ্ট সংকট বা আস্থার ঘাটতি কেটে যাবে বলেও মনে করেন তারা। বৈঠকে আলোচনার যতটুকু সামনে এসেছে তা ইতিবাচক।
নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করার কারণে ভুল বোঝাবুঝিও হয়তো কেটে গেছে। তবে দুই নেতার মধ্যে যে সমঝোতা হয়েছে, ভবিষ্যতে তা যেন ভেঙে না যায় বা সেই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হতে না পারে সে বিষয়েও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
জানতে চাইলে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, আলোচনা হওয়াটাই তো ইতিবাচক বিষয়। ফলে এই বৈঠক অবশ্যই ইতিবাচক। এছাড়া তারা (সরকার) তো নির্বাচন নিয়ে তাদের অবস্থান থেকে পিছিয়ে আসার ইঙ্গিত দিয়েছে। কারণ প্রথমে তিনি (ড. মুহাম্মদ ইউনূস) জুনে দেওয়ার কথা বলেছিলেন। পরে আবার বলেছেন এপ্রিলের কথা।
এখন বলছেন, সংস্কার শেষ হলে আর বিচার দৃশ্যমান করতে পারলে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন দিতে উনার কোনো আপত্তি নেই। এটা একটা ভালো উদ্যোগ। আর নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করার কারণে ভুল বোঝাবুঝিও হয়তো কেটে গেছে। তাদের আলোচনার সবকিছু তো আমরা জানতে পারব না। তবে যতটুকু সামনে এসেছে এটা ইতিবাচক।
কালের কণ্ঠ
দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম ‘সংস্কার, বিচার ও সংবিধান প্রণয়নে ব্যর্থ হলে নির্বাচনে যাব না’। খবরে বলা হয়, বর্তমান সরকার যদি সংস্কার, বিচার এবং সংবিধান প্রণয়নের প্রক্রিয়ায় ব্যর্থ হয় তাহলে এনসিপি দ্বিতীয় গণ-অভ্যুত্থানের দিকে যেতে বাধ্য হবে। এমনকি এই সরকার জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে ব্যর্থ হলে এনসিপি কোনো নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করবে না।
গতকাল শুক্রবার লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অস্থায়ী কার্যালয়ে দলটির প্রতিক্রিয়া জানতে কজন সাংবাদিক গেলে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী তাঁদের কাছে এ প্রতিক্রিয়া জানান।
তিনি বলেন, ‘লন্ডনে বসে একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরকারের মিটিং দেশবাসীর স্বার্থ ও গণ-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে প্রতারণা।
শহীদদের রক্তকে অবমাননা করে বিদেশের মাটিতে মিটিং আয়োজন কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে হবে দেশের জনগণের মাধ্যমে, বিদেশি আলোচনায় নয়।’
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘৯০-এর গণ-অভ্যুত্থানের পর একটি সামাজিক চুক্তি হয়েছিল, কিন্তু সেটিকে কার্যকর না করে দেশকে অন্য খাতে প্রবাহিত করা হয়েছে। আজকের বাস্তবতায় নতুন করে একটি জাতীয় বন্দোবস্ত প্রয়োজন।
সমকাল
‘জামায়াত-এনসিপি নাখোশ’-এটি দৈনিক সমকালের প্রথম পাতার খরব। প্রতিবেদনে বলা হয়, শুধু বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ঘোষণা করায় অসন্তুষ্ট জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলনও। অন্যদিকে বৈঠককে ইতিবাচক উল্লেখ করে স্বাগত জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, এবি পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, ১২ দলীয় জোট, বাংলাদেশ এলডিপি, খেলাফত মজলিসসহ কয়েকটি দল।
জামায়াতে ইসলামী এখনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তবে দলটির এক শীর্ষ নেতা সমকালকে বলেছেন, শুধু বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়ে অন্য দলগুলোকে রাজনৈতিকভাবে অবমূল্যায়ন ও ঝুঁকিতে ফেলা হয়েছে। সর্বদলীয় আলোচনায় নির্বাচনের সময়সীমা নির্ধারণ করা উচিত ছিল।
এনসিপি বলছে, অন্তর্বর্তী সরকার বিএনপির বর্ধিতাংশে পরিণত হয়েছে। তারা নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। এ অবস্থায় সংস্কার ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কিনা– সংশয় রয়েছে।
গতকাল শুক্রবার লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৈঠকের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রমজানের আগে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব দেন তারেক রহমান। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে ২০২৬ সালের রমজান শুরুর আগের সপ্তাহেও নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে।
ইত্তেফাক
দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পাতার খবর ‘ভয়াল রূপে ফিরছে ডেঙ্গু ও করোনা’। প্রতিবেদনে বলা হয়, ডেঙ্গু ও করোনা ভাইরাস উভয়ের আচরণ পরিবর্তন হয়ে এবার ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। আগে ডেঙ্গু জ্বর হলে প্রচণ্ড জ্বর, গিরায় গিরায় ব্যথা, কাশি ও গলা ব্যথা হতো। কিন্তু এবার জ্বর তেমন হয় না। গিরায় ও গলায় ব্যথা হয় সামান্য। তবে প্রচণ্ড মাথা ব্যথা হয়। জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথাও থাকে, তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে কাশি থাকে না। ঠিক একইভাবে করোনার উপসর্গও পরিবর্তন হয়েছে। আগে করোনার উপসর্গ ছিল হাচি-কাশি, শ্বাসকষ্ট, গলায় ব্যথা, প্রচণ্ড জ্বর থাকত। এখন জ্বর কম থাকে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্টও হয় না। মাথা ব্যথা বেশি থাকে। এদিকে বর্তমানে ইনফ্লুয়েঞ্জা জ্বরের মৌসুম।
এ কারণে প্রচণ্ড মাথা ব্যথা হলে অনেকে মনে করে, এটা ইনফ্লুয়েঞ্জা জ্বর। তাই চিকিত্সকের কাছে না গিয়ে ঘরে বসে থাকেন। বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকরা বলেন, যেহেতু ডেঙ্গু ও করোনা ভাইরাসের আচরণ পরিবর্তন হয়েছে, তাই চিকিত্সার ধরন পরিবর্তন করতে হবে। তবে সবার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করতে হবে। এদিকে পরীক্ষা করতে হাসপাতালে পর্যাপ্ত কিট নেই। দেশে টিকারও সংকট। করোনা প্রতিরোধে ব্যবস্থাপনা দুর্বল। এয়ারপোর্টে স্যাম্পল কালেকশন তেমন হয় না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, দেশে করোনার পরীক্ষার কিটের সংকট। যত দ্রুত রোগ নির্ণয় হবে, তত দ্রুত আরোগ্য লাভ করবে। তাই সারা দেশে চাহিদা অনুযায়ী কিট সরবরাহ করতে হবে।
বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকরা বলেন, রাজধানীসহ সারা দেশে অনেক মানুষের মাথা ব্যথা ও গিরায় গিরায় ব্যথা থাকলেও জ্বর না থাকায় ঘরে শুয়ে থাকেন। আবার কারো কারোর গিরায় গিরায় ব্যথা থাকে না। যখন জটিলতা দেখা দেয়, ঐ সময় রোগীর জটিলতা বেড়ে গিয়ে আইসিইউর প্রয়োজন হয়। তখন আইসিইউ না পেয়ে মারা যায়। বর্তমান অবস্থা চলতে থাকলে ডেঙ্গু ও করোনা মহামারি আকার ধারণ করতে পারে। তাই সময় থাকতে এখন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে স্যাম্পল ক্যালেকশন করতে হবে। সরকারি-বেসরকারি সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। বেসরকারি হাসপাতালে পরীক্ষা ফি নির্ধারণ করে দেওয়া উচিত।
পরীক্ষানিরীক্ষার নামে বেসরকারি হাসপাতাল গলাকাটা বাণিজ্য শুরু করে দিয়েছে। সবাইকে সেবার মন নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। বর্তমানে বেসরকারি হাসপাতালে অ্যান্টিজেন টেস্ট করতে ফি নেওয়া হয় ৭০০ টাকা। আর্টিফিশিয়ার টেস্ট ৩ হাজার টাকা দিতে হয়। তবে সরকারি হাসপাতালে এই দুটি টেস্ট ফ্রি করা হয়। তবে ফ্রি না দিয়ে একটা ফি নির্ধারণ করে দেওয়া উচিত। তখন অযথা হাসপাতালে ভিড় করবে না। মানুষও সচেতন হবে।
বণিক বার্তা
‘ইরানে ইসরায়েলের হামলা: বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে ৭ শতাংশের বেশি’-এটি দৈনিক বণিক বার্তার প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের একাধিক পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনার ওপর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ভূরাজনৈতিক এমন উত্তেজনার কারণে ইরান থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে বিশ্ববাজারে গতকাল পণ্যটির দাম ৭ শতাংশের বেশি বেড়ে কয়েক মাসের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। খবর রয়টার্স।
অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের দাম গতকাল ব্যারেলে ৫ ডলার ১০ সেন্ট বা প্রায় ৭ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে। প্রতি ব্যারেলের মূল্য স্থির হয়েছে ৭৪ ডলার ৪৬ সেন্টে। গতকাল জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলে সর্বোচ্চ ৭৮ ডলার ৫০ সেন্টে পৌঁছেছিল, যা ২৭ জানুয়ারির পর সর্বোচ্চ।
অন্যদিকে মার্কিন বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম গতকাল বেড়েছে ৫ ডলার ১০ সেন্ট বা ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। ব্যারেলপ্রতি মূল্য স্থির হয়েছে ৭৩ ডলার ১৫ সেন্টে। পণ্যটির দাম দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭৭ ডলার ৬২ সেন্টে পৌঁছেছিল, যা ২১ জানুয়ারির পর সর্বোচ্চ।
গতকাল ব্রেন্ট ও ডব্লিউটিআইয়ের দাম ২০২২ সালের পর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। সে সময় ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে পণ্যটির দামে ব্যাপক উল্লম্ফন দেখা দিয়েছিল।
ইসরায়েল জানিয়েছে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা ও সামরিক কমান্ডারদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। দেশটি এটিকে একটি দীর্ঘমেয়াদি অভিযান হিসেবে ঘোষণা করেছে। যার লক্ষ্য তেহরানকে পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণ থেকে বিরত রাখা।
দেশ রূপান্তর
‘বন্দর ও করিডর ইস্যুতে আপত্তি বিএনপির’-এটি দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্য সফররত অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকে নির্বাচন, সংস্কার, বিচারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনার পাশাপাশি বন্দর ও করিডর ইস্যু দুটিও স্থান পায়। জানা গেছে, বৈঠকে মিয়ানমারকে মানবিক করিডর ও চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যবস্থাপনা বিদেশি কোম্পানির হাতে অর্পণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছেন বিএনপির শীর্ষনেতা। গতকাল শুক্রবার দেশ রূপান্তরকে এসব কথা জানিয়েছেন লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান-ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র।
সূত্রমতে, বৈঠকে তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন, গৃহযুদ্ধকবলিত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের জন্য ‘মানবিক করিডর’ দেওয়া এবং চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশি কোম্পানির হাতে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া অন্তর্র্বর্তী সরকারের কাজ নয়। এ সিদ্ধান্ত নেবে জনগণের ভোটে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ বা জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার।
সূত্র আরও জানায়, বৈঠকে তারেক রহমান এ দুই ইস্যুকে প্রাধান্য দিয়ে কথা বলেছেন। তারেক রহমানের বক্তব্য প্রধান উপদেষ্টা শুনেছেন। পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টা বন্দর নিয়ে যে ভুল বোঝাবুঝি রয়েছে, তা উল্লেখ করে বলেছেন, বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে না। বরং এর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। এর মাধ্যমে বহুমাত্রিক উপকার পাবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ প্রতিদিন
দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পাতার খবর ‘স্বাগত অধিকাংশ দলের, ক্ষোভ প্রকাশ এনসিপির’। খবরে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে অনুষ্ঠিত বহুল আলোচিত লন্ডন বৈঠকের যৌথ বিবৃতি নিয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তারা বলছেন, বর্তমানে দেশের দুই গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মধ্যকার এই বৈঠক রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে। তবে ব্যতিক্রম জুলাই গণ অভ্যুত্থান থেকে গড়ে ওঠা বিপ্লবীদের রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এ বৈঠককে গণ অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থি বলে অভিহিত করেছেন।
গতকাল এক বিবৃতিতে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেছেন, অধ্যাপক ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক ও বিবৃতি দেশের রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে। এই উচ্চপর্যায়ের সংলাপ দেশে রাজনৈতিক সমঝোতা ও জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে গণ অভ্যুত্থানের কাঙ্ক্ষিত অভিপ্রায় অনুযায়ী রাষ্ট্র সংস্কার, শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর এবং গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠার পথে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
বিবৃতিতে দ্রুত ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়নের আহ্বান জানিয়ে তারা আরও বলেন, আমরা এই ঐকমত্যের সূচনাকে স্বাগত জানাই। সেই সঙ্গে বাস্তবে সংস্কার ও বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে চাই।