হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি: নোয়াখালীর হাতিয়ায় বাড়ির একটি পুকুরে কুমিরের দেখা মেলার খবরে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে বনবিভাগের কর্মকর্তারা এসে পুকুরে জাল ফেলে কুমিরের সন্ধান পায়নি। তাদের ধারণা এটি একটি গুইসাপ।
কুমিরের দেখা মেলার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া এবং উদ্ধার সংক্রান্তে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নোয়াখালী উপকূলীয় বনবিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করেন। পরে বাড়ির মালিক এবং স্থানীয়দের মতামতের ভিত্তিতে বন কর্মকর্তারা পুকুরে জাল ফেলার ব্যবস্থা নেন। জাল টানা শেষে কুমিরের কোনো অস্তিত্ব খুঁজে না পেয়ে তারা প্রাণিটির দেখার খবরকে গুইসাপ বলে মন্তব্য করেন।
এর আগে গতকাল বিকেলে হাতিয়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মাসুদ শরীফের বাড়ির পুকুরে এ সরীসৃপ প্রাণির দেখা মেলার খবর পাওয়া যায়। এমন খবরে চারিদিক থেকে উৎসুক জনতা ভীড় করতে শুরু করে। পাশাপাশি এলাকায় আতঙ্কও বিরাজ করে। পরে হাতিয়া উপকূলীয় বন বিভাগ নলচিরা রেঞ্জের বিট কর্মকর্তাসহ অন্যান্যরা ঘটনাস্থলে এসে কুমির দেখতে না পেয়ে ঘটনাটি নজরদারি করার জন্য তাদের একজন সদস্য নিয়োগ করে।
বাড়ির মালিক মাসুদ শরীফ জানান, গত দুইদিন আগে পাশের বাড়ির বেলালদের লাকড়ি ঘরে ছিল কুমিরটি। বেলাল এবং তাদের বাড়ির লোকজন লাঠি, টেটা নিয়ে কুমিরটি মারতে যায়। বিশালাকৃতির হওয়ায় ভয়ে তারা পিছু হটে বলে জানান তিনি। একই ঘটনা স্বীকার করেন বেলালও। তারা জানান, প্রাণিটির শরীর কাটা কাটা, মুখ লম্বা ইত্যাদি। প্রাণিটি পরে পাশের পুকুরে(সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের পুকুর) পড়ে। যাহা পরে মাসুদ শরীফদের পুকুরে দেখা যায় বলে জানান তারা।
উপকূলীয় বন বিভাগের বন্যপ্রাণি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল বলেন, "মানুষের আতঙ্ক দুর করার জন্য আমরা পুকুরে জাল ফেলার ব্যবস্থা করি। কিন্তু কুমিরের অস্তিত্ব খুঁজে পাইনি, আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারি এটি একটি গুইসাপ। "
নোয়াখালী উপকূলীয় বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক এ কে এম আরিফ-উজ-জামান বলেন, "সরেজমিনে এসে আমরা এক প্রত্যক্ষদর্শীর ভিডিও যাচাই করেছি। স্থানীয় লোকজনের মতামতের ভিত্তিতে এবং বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য পুকুরে জাল ফেলি। কিন্তু কুমির সদৃশ প্রাণির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। এরপরও দৃশ্যমান কিছুর খোঁজ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেবো। "