কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি: কেরানীগঞ্জে ডেঙ্গু মশার বিস্তার বাড়ছে। এডিস মশাবাহিত ভাইরাসটির সংক্রমণও কিছুটা নিম্নগতি। উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ডেঙ্গু জ্বরে কেউ আক্রান্ত হয়নি। তবে অনুতাপের বিষয়, কেরানীগঞ্জ উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ফগার মেশিন থাকলেও মশক নিধনে নেই তার ব্যবহার।
আজ রবিবার (২২ জুন) দুপুরে কেরানীগঞ্জ উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মশার উৎপাত চরম আকার ধারণ করেছে, মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। মশার কামড়ে শিশু-কিশোর, শিক্ষার্থী এবং কর্মজীবী মানুষ সবাই চরম দুর্ভোগে পড়েছে। বাজারে পাওয়া মশার কয়েল ও অন্যান্য প্রতিরোধকও কার্যকর হচ্ছে না। বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীরা মশার কারণে পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারছে না, যা তাদের শিক্ষাজীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। সন্ধ্যার পর ঘরে থাকা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। দিনের বেলাতেও মশার উৎপাত বেড়ে গেছে, ফলে স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। অনেকেই মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে।
কালিন্দি ইউনিয়নের বাসিন্দা রুহুল বলেন, আমাদের এখানে মশার ওষুধ ছিটাতে দেখা যায় না। কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করব, যেন দ্রুত আমাদের এলাকায় মশার ওষুধ ছিটানো হয়। মশা অনেক বেড়ে গেছে। দিনে ঘুমাতে গেলে বা সন্ধ্যার পর থেকে মশারি টাঙিয়ে রাখতে হয়। মশার সমস্যা খুবই জটিল হয়ে পড়েছে।
এলাকাবাসীর প্রত্যাশা, দ্রুত সময়ের মধ্যে মশার উপদ্রব থেকে মুক্তি পেতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশেষ করে, জলাবদ্ধতা দূর করা, নিয়মিত মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা এবং জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কার্যকর কর্মসূচি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: মো: আব্দুল মোকাদ্দেশ জানায়, এখন পর্যন্ত কেরানীগঞ্জে ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত হয়নি। তবে ঢাকার পার্শ্ববর্তী হওয়ায় কেরানীগঞ্জের বেশির ভাগ মানুষ চিকিৎসা সেবা নিতে ঢাকায় চলে যায়।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিনাত ফৌজিয়া মুঠো ফোনে জানান, ডেঙ্গু প্রতিরোধে উপজেলার সকল জনগণকে একসাথে কাজ করতে হবে। বাসা বাড়িতে জমে থাকা পানি দ্রুত সরিয়ে ফেলতে হবে, বাড়ির আঙিনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। তিনি সংবাদমাধ্যমকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে উপজেলার সকল পর্যায়ের জনগণকে সচেতন করে তোলার আহ্বান জানান। ডেঙ্গুর ভয়াবহতা থেকে বাঁচতে আমাদের সচেতন হতে হবে। কেরানীগঞ্জ উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে আমাদের ফগার মেশিন দিয়ে মশা নিধন কার্যক্রম চলমান আছে৷