বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: বাঁশখালী উপজেলার জলদি অভয়ারণ্যে রেঞ্জের আওতাধীন জলদির সংরক্ষিত বন এলাকায় অবৈধভাবে নির্মিত ঘর উচ্ছেদকালে বাধা প্রদান করে প্রকাশ্যে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন নাছিমা আক্তার (৩০) নামে এক গৃহবধূ।
এ ঘটনায় গৃহবধূ নাছিমা আক্তারকে প্রথমে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে গৃহবধূ নাছিমা আক্তার চট্টগ্রাম মেডিকেল (চমেক) এ চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শনিবার (২১ জুন) জলদি অভয়ারণ্যে রেঞ্জের আওতাধীন জঙ্গল জলদি ভিলেজার পাড়া, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মুসলিমাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নাছিমা আক্তার দক্ষিণ জলদি গ্রামের জামাল উদ্দিনের স্ত্রী। পারিবারিক জীবনে নাছিমা আক্তার ৩ সন্তানের জননী।
জানা যায়, ‘দক্ষিণ জলদির সংরক্ষিত বনাঞ্চল জলদি বন বিটের পাশে ভিলেজার পাড়া এলাকায় নাছিমা আক্তার ও তার স্বামী জামাল উদ্দিন একটি ঘর তুলেছেন। বন বিভাগ খবর পেয়ে ওই ঘর উচ্ছেদ অভিযানে দুইবার গিয়েও অভিযানে ব্যর্থ হয়। সর্বশেষ শনিবার ওই ঘর উচ্ছেদে গেলে ঘরের সামনে ১৫-২০ জন নারী জমায়েত হয়ে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। পরে ওই মুহূর্তে এক নারী বিষপান করেছেন বলে প্রচার করা হয়। ঘরটি উচ্ছেদ না করার জন্য বিষপান করে বন কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে বলে জানা যায়।'
ভুক্তভোগী নাছিমা আক্তারের ভাই মোকতার হোসাইন বলেন, ‘পাহাড়ে অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ করায় বন বিভাগ উচ্ছেদ করতে এসে সবার সামনে বন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পিটুনি খেয়ে অপমানে আমার বোন বিষপান করেছেন। বর্তমানে তার অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক'। বর্তমানে সে চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে।'
জলদি অভয়ারণ্যে রেঞ্জের কর্মকর্তা আনিচ্ছুজামান শেখ বলেন, ‘জলদি বন বিটের পাশে সংরক্ষিত বনে অবৈধভাবে একটি ঘর তুলেছেন নাছিমা আক্তার ও তার স্বামী জামাল উদ্দিন। অবৈধভাবে করা ওই ঘর উচ্ছেদের জন্য দুই দিন ওখানে গিয়ে ব্যর্থ হই আমরা। সর্বশেষ শনিবার উচ্ছেদ করতে গেলে ঘরের সামনে ১৫-২০ জন নারী জমায়েত হয়ে আমাদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে আমরা ঘটনাস্থল থেকে চলে আসি।'
তিনি আরও বলেন, 'আমরা ঘটনাস্থল থেকে চলে আসার পর ওই নারী বিষপান করে ঘরটি উচ্ছেদ না করার জন্য বন বিভাগকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।'