ঢাকা
২৪শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
রাত ১০:৫৭
logo
প্রকাশিত : মে ২৪, ২০২৫

পুঁজিবাজার থেকে পাচার হয় ১৫ হাজার কোটি টাকা: দেবপ্রিয়

দেশের পুঁজিবাজার থেকে ২০১০-১১ সালে ২০ হাজার কোটি টাকা বের করে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। এমন তথ্য দিয়েছেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

শনিবার (২৪ মে) ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) আয়োজিত এক সংলাপে তিনি এ কথা বলেন। ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক আলোচনায় পুঁজিবাজার: দর্শন ও অনুশীলন’ শীর্ষক এই সংলাপ ডিএসই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য্য। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। আর প্যানেল আলোচক হিসেবে ছিলেন বিএসইসি কমিশনার মো. মোহসিন চৌধুরী, জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কাউন্সিলের সদস্য মো. মোবারক হোসাইন, পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. মাশরুর রিয়াজ, আইসিএমএবির সভাপতি মাহতাব উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় দেবপ্রিয় বলেন, শাস্তি যদি না হয় অন্যায় ও দুর্নীতি রোধ করা যায় না। আমরা দেখেছি ১৯৯৬ সালে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় শেয়ারবাজারে অনিয়ম হয়েছে। হাজার হাজার মানুষকে পথে বসিয়ে দেওয়া হয়। সে সময় বাজার থেকে বিপুল অর্থ বের করে নেওয়া হয়। তার কোনো বিচার হয়নি।

তিনি বলেন, বিচার না হওয়ার কারণে আমরা ২০১০ সালে আবারও একই ধরনের চিত্র দেখেছি। রাজনৈতিকভাবে সিন্ডিকেট করে পুঁজিবাজার থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা বের করে নেওয়া হয়। এর মধ্যে ১৫ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। এই ঘটনায়ও কারো বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

তিনি আরও বলেন, শেয়ারবাজারে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে যারা অনিয়ম করেছেন তাদের কেউ কেউ জেলে আছেন। তবে তারা জেলে আছেন অন্য ঘটনায়। পুঁজিবাজারের অনিয়মের কারণে এদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

দেবপ্রিয় বলেন, অর্থনীতিতে পুঁজিবাজারে সঞ্চয় বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান, বিনিয়োগ ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশ্বে কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে পুঁজিবাজার অন্যান্য খাতের থেকে অনেক বেশি ভূমিকা রাখে। কিন্তু বাংলাদেশের পুঁজিবাজার বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান, সঞ্চয় ও দক্ষতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সেই ভূমিকা রাখতে পারছে না। এর কারণ পুঁজিবাজারে যার যে ভূমিকা, তারা সেই ভূমিকা পালন করেনি।

সিপিডির এই সম্মানীয় ফেলো বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজার পরিচালনা বা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালন করে তারা কি নিজের সুশাসন নিশ্চিত করতে পারছে? আমার দৃষ্টিতে পারছে না। বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার থেকে চালাক। সুতরাং আপনি যদি নিয়ন্ত্রক সংস্থায় আরও বেশি চালাক ব্যক্তিকে দায়িত্ব না দেন, তাহলে ঠেকিয়ে রাখতে পারবেন না।

অর্থনীতিতে পুঁজিবাজারে অবস্থা আরও দুর্বল হচ্ছে উল্লেখ করে দেবপ্রিয় বলেন, শেয়ারবাজারে এই মুহূর্তে যে সমস্যা আছে এটা বৃহত্তর কাঠামোতে যদি আলোচনা না করি, তাহলে হবে না। আপনি যদি আলোচনা ছাড়া ঠিক সিদ্ধান্ত নেন, সেটাও ঠিক হবে না।

শেয়ারবাজারে দীর্ঘদিন আইপিও বন্ধ। এছাড়া এরইমধ্যে সূচকে অনেক পতনের মাধ্যমে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। এ সমস্যা টোটকা ওষুধ দিয়ে সমাধান হবে না। সবার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বড় উদ্যোগ নিয়ে সমাধান করতে হবে।

সর্বশেষ
logo
প্রকাশকঃ অধ্যাপক ড. জোবায়ের আলম
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ তাপস রায় সরকার
মোবাইল: +৮৮০ ১৭৩৬ ৭৮৬৯১৫
কার্যালয় : বিটিটিসি বিল্ডিং (লেভেল:০৩), ২৭০/বি, তেজগাঁও (আই/এ), ঢাকা-১২০৮
মোবাইল: +880 2-8878026, +880 1736 786915, +880 1300 126 624
ইমেইল: tbtbangla@gmail.com (online), ads@thebangladeshtoday.com (adv) newsbangla@thebangladeshtoday.com (Print)
বাংলাদেশ টুডে কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বে-আইনী।
Copyright © 2025 The Bangladesh Today. All Rights Reserved.
Host by
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram