বলিউড সুপারস্টার আমির খান বেশ ফুরফুরে মেজাজে ছিলেন নতুন প্রেম নিয়ে। কিন্তু হঠাৎই সুসময়ের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া পুরোনো একটি ছবি। যেখানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ এরদোগানের সঙ্গে দেখা মিলেছে আমিরের। আর তারপরই আমিরের নতুন সিনেমা ‘সিতারে জমিন পর’ বয়কটের ডাক উঠেছে। তবে এই পরিস্থিতিতে আমিরের পাশে দাঁড়ালেন সুনীল শেঠি।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে তুরস্ক। তারপর থেকেই তুরস্ককে বয়কটের ডাক দিয়েছেন ভারতীয়রা। এরইমধ্যে আমির খানকে নিয়ে ‘সিতারে জমিন পর’ বয়কটের ডাক উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে আমিরের তুরস্কে যাওয়ার পুরনো ছবি।
সুনীল শেঠি এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন, ‘সবাই বলিউডের পেছনে লাগে। এখানে বলিউডের প্রসঙ্গ আসে কোথা থেকে? দেশের বিষয়ে তো রাজনীতিকেরা কথা বলবেন। দেশের স্বার্থে কিছু হলে, আমরা তো সেটা সমর্থন করবই। তাই তো আমরা দেশাত্মবোধক ছবি বানাই। আমরা তো আমাদের কাজ করছি।’
অভিনেতা আরও বলেন, ‘মানুষের অতীত ভুলে যাওয়া উচিত। আজকের সময়ের প্রতিনিধিত্ব অতীত করে না। তাই ভবিষ্যতে আমরা কী করছি, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। বড় কোনো অনুষ্ঠানে গেলে কারও মাথায় থাকে না, কে কার সঙ্গে ছবি তুলছে। ছবি না তুললেও লোকে বলবে অহঙ্কারী। তাই যা-ই হোক সমালোচিত হতেই হবে।’
‘লাল সিংহ চাড্ডা’র অসফলের পর দীর্ঘদিন বলিউড থেকে দূরে ছিলেন আমির। বর্তমানে ‘সিতারে জামিন পার’ সিনেমার মাধ্যমে ফের বলিউডে প্রত্যাবর্তনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন আমির। কিন্তু এর মধ্যেই তাকে ও তার আসন্ন সিনেমাটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি ওঠে।
সেই ক্ষোভ আরও বাড়িয়ে দেয় তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমিরের ছবি। তবে এই ছবি তোলা হয়েছিল ২০১৭ সালে। সেই সময় তুরস্কে গিয়েছিলেন আমির। আর পাকিস্তানের সমর্থক দেশের সঙ্গে আমিরের ঘনিষ্ঠতা মেনে নিতে পারেননি নেটিজেনরা।