ঢাকা
১৮ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
রাত ৯:২৮
logo
প্রকাশিত : মে ১৮, ২০২৫

সীমান্তে বেড়েছে পুশ-ইনের ঘটনা, আতঙ্কে স্থানীয়রা

সম্প্রতি দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে ভারত থেকে পুশ-ইনের ঘটনা বেড়েছে। প্রায় প্রতিদিনই দেশটি থেকে পুশ-ইন করার ব্যক্তিদের আটক করছে বিজিবি। এদের মধ্যে বাংলাদেশি ছাড়াও রোহিঙ্গা ও ইউএনএইচসিআরের কার্ডধারী রিফিউজিরাও রয়েছে।

কোনও অবৈধ বাংলাদেশি থাকলে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া মেনে ফেরত পাঠানোর কথা ভারতকে জানিয়েছে সরকার। বিষয়টি নিয়ে কূটনীতিক চ্যানেলে আলোচনা চললেও কোনও ফল আসেনি।

সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর মধ্যে, কুড়িগ্রাম, ঝিনাইদহ, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও খাগড়াছড়ি সীমান্ত দিয়ে বেশি পুশ-ইনের ঘটনা ঘটছে।

কুড়িগ্রামের সীমান্তবর্তী এলাকা মাদক ও চোরাচালানের অন্যতম রুট হিসেবে পরিচিত। এর সাথে নতুন করে পুশ-ইন আতঙ্ক যুক্ত হয়েছে। আগে থেকেই সীমান্ত এলাকায় জড়ো করা লোকজনকে রাতের আধারে বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় মানবপাচার ও চোরাচালান ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

মিয়ানমারে সংঘর্ষে ঘরবাড়ি হারিয়ে মামুদ উল্লাহ ও রোমানা বেগম দম্পতি ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। গত ৭ মে রাতের আধারে ভাওয়ালকুড়ি সীমান্ত দিয়ে তাদের পরিবারের ৫ সদস্যকে পুশ-ইন করে বিএসএফ।

রোমানা বেগম বলেন, প্রথমে আমাদের তিনঘণ্টা গাড়িতে করে নিয়ে আসা হয়। এরপর অনেকখানি পথ হাটিয়ে আমাদের সীমান্ত পার করে দেয়া হয়।

কুড়িগ্রাম-২২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সোনাহাট কোম্পানী ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার আইয়ুব হোসেন বলেন, এই পরিবারের সদস্যরা দুইঘণ্টা চোখ বাঁধা অবস্থায় ছিল। এরপর সারারাত হেটে অপরিচিত একটি জায়গায় আসে। পরে খবর পেয়ে তাদের আটক করা হয়।

কুড়িগ্রামের ৭ উপজেলার সাথে ভারতের আসাম, পশ্চিমবঙ্গ ও মেঘালয় রাজ্যের সীমান্ত রয়েছে। এরমধ্যে স্থল ও নদীপথে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার অংশে কাঁটাতার নেই। চলতি মাসে জেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতে থাকা ৩৬ রোহিঙ্গাসহ ৪৪ জনকে পুশ ইন করে বিএসএফ।

স্থানীয় একজন বলেন, সীমান্ত দিয়ে ৩০-৪০ জনের মতো বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেখেছি। তারা তাদের বাড়ি কোথায় বলতে পারেনি। আরেকজন বলেন, ভারত থেকে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। এর প্রভাব নিয়ে আমরা শঙ্কিত।

চলতি মাসে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৭০ জনকে পুশ-ইন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে, খাগড়াছড়ি দিয়ে ৭৩ জন, কুড়িগ্রামে ৪৪ জন, সিলেটে ২৩ জন, ঝিনাইদহে ২২ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ১৭ জন, মৌলভীবাজারে ১৫ জন, পঞ্চগড়ে ১১ জন ও চুয়াডাঙ্গা দিয়ে ১০ জনকে পুশ-ইন করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ভারত থেকে পুশ ইনের মাধ্যমে আসাদের মধ্যে বাংলাদেশি থাকলে তাদের পুশ ব্যাক করার সুযোগ নেই। তবে ভারতের নাগরিক ও দেশটির রোহিঙ্গারা থাকলে তাদের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার ফেরত পাঠানো হবে।

জনগণ ও সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিতে টহল জোরদারের কথা জানিয়েছেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। তিনি বলেন, আমাদের সীমান্ত অনেক বিস্তৃত হওয়ার কারণে প্রতিটি স্থানে পাহাড়া দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে আনসার বাহিনীর সাহায্য নেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি জনগণেরও সাহায্য প্রয়োজন।

logo
প্রকাশকঃ অধ্যাপক ড. জোবায়ের আলম
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ তাপস রায় সরকার
মোবাইল: +৮৮০ ১৭৩৬ ৭৮৬৯১৫
কার্যালয় : বিটিটিসি বিল্ডিং (লেভেল:০৩), ২৭০/বি, তেজগাঁও (আই/এ), ঢাকা-১২০৮
মোবাইল: +880 2-8878026, +880 1736 786915, +880 1300 126 624
ইমেইল: tbtbangla@gmail.com (online), ads@thebangladeshtoday.com (adv) newsbangla@thebangladeshtoday.com (Print)
বাংলাদেশ টুডে কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বে-আইনী।
Copyright © 2025 The Bangladesh Today. All Rights Reserved.
Host by
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram