এম এ জলিল সরকার, পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির শ্রমিকদের চাকরিতে বহাল ও ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিকরা খনির প্রধান গেটে বিক্ষোভ, সমাবেশ মিছিল এবং সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন।
আজ রোববার সকালে খনির গেটে সমাবেশে শ্রমিকরা জানান, শ্রমিকদের পরিবারের জমি-জমা ঘরবাড়ি, কবরস্থান, মসজিদ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ হয়। বড়পুকুরিয়া কোল মাইন্ড কোম্পানি ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার বাসিন্দাদের পরিবারের একজন করে চাকরি পাবে সে প্রেক্ষিতে ২০ গ্রাম কমিটির মাধ্যমে গত ২০১৮ সালের ৮ জুন থেকে প্রায় ১৭৫ জন শ্রমিক খনির ভূ-গর্ভে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছে। শুধু তাই নয় ৭ বছর ধরে মাটির নিচে ১৪শত ফিট গভীরে কাজ করে থাকেন শ্রমিকরা।
বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির চায়নার সাব কন্টাক্ট কোম্পানি (JSME) জিয়ানসুং মাইনিং ইঞ্জিনিয়ার গ্রুপের অধীনে শ্রমিকরা কাজ করে আসছেন। অফিস কর্তৃপক্ষ চলতি মাসের ৬ মে শ্রমিকদেরকে জানায়, তোমদের আর মাত্র ৪ থেকে ৫ মাস কাজ করতে হবে এবং কোন দূর্ঘটনা জনিত শ্রমিকের কোন সমস্যার দ্বায়ভার নিবে না ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। তাৎক্ষনিকভাবে শ্রমিকরা প্রতিবাদ কর্মবিরতি পালন করে।
শ্রমিকরা বক্তবে আরো জানান, আমরা যখন কোম্পানিতে যোগদান করি আমাদের বয়স ছিল ২২ থেকে ২৯ বছর। আজ ৭বছর পর আমাদের বয়স দাঁড়িয়েছে ৩৪ থেকে ৩৬ বছর আমরা এখন কোথায় যাব? কি কাজ করব? নিশ্চয়তা প্রদান করবে কে? তারা জানান, যোগদানের সময় বিসিএমসিএল কর্তৃপক্ষ বলেছিলেন কয়লা খনি যতদিন সচল থাকবে ততদিন ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার চাকরি বহাল থাকবে এ বিশ্বাস নিয়ে আমরা চাকরিতে যোগ দেই। বিষয়গুলো দ্রুত সমাধনের জন্য কর্তৃপক্ষসহ সরকারের নিকট জোড় আহবান জানান।
ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন লিটন খান, শহিবুল ইসলাম বাবু, আসাদুজ্জামান জীবন, মেহেদেী হাসান।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম সরকার জানান, মূল ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান চায়নার সাব কন্টাক্ট (JSME) জিয়ানসুং মাইনিং ইঞ্জিনিয়ার গ্রুপের অধীনে শ্রমিকরা কাজ করে থাকত। তারা ভূ-গর্ভের ট্যানেল কাজে নিয়োজিত ছিল। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানে কাজ শেষের পথে আমি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে তাদের চাকরি বহাল রাখার বিষয়টি আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।