পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর পুঠিয়ায় অবৈধভাবে পুকুর খনন ও সংস্কারের নামে মাটি বিক্রি বন্ধে মাঠে নেমেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ কে এম নূর হোসেন নির্ঝর।
গত বুধবার (৭ মে) বিকেল ৪টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত উপজেলার শিলমাড়িয়া ও জিউপাড়া ইউনিয়নে মোবাইল কোর্টের অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
জানা গেছে, গত কয়েকমাস ধরে উপজেলার রাতোয়াল ও লেপপাড়া ও বারোপাখিয়া গ্রামের আবাদী কৃষি জমিতে হান্নান, হাসেম, নয়ন ও মাহাবুব প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে আক্কাস মেম্বারের মালিকানাধীন পুকুর সংস্কারের নামে প্রায় ১০০ বিঘা ধানী জমিতে পুকুর খনন করে বিভিন্ন জায়গায় মাটি বিক্রি করে আসছে।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ কে এম নূর হোসেন নির্ঝর পুঠিয়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। ভূমিখেকোরা প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে মাটি বহনকারী ট্রাক্টর ও মাটি খননযন্ত্র এস্কেভেটর রেখেই পালিয়ে গেলে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন ও বিক্রির দায়ে তাদের ৩টি এস্কেভেটর অকেজো করাসহ ৬টি ব্যাটারি এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়। জানা যায়, উপজেলার আরও বিভিন্ন স্থানে পুকুর খননের সাথে মাটি বিক্রির কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ কে এম নূর হোসেন নির্ঝর বলেন, বেশ কয়েটি স্থানে জমির মালিক সরকারি অনুমতি না নিয়ে তাদের ইচ্ছেমত দিনে-রাতে পুকুর সংস্কার ও ফসলি জমির মাটি বিক্রির কাজে লিপ্ত রয়েছে। খবর পেয়ে আমরা সেখানে গেয়ে সবাই পালিয়ে যায়। পরে ৩টি এস্কেভেটর অকেজো করাসহ ৬টি ব্যাটারি এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি জব্দ করি।
প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে কেউ পুকুর সংস্কার করতে পারবে না। আইন না মানলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অবৈধভাবে পুকুর খনন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত মোবাইল কোর্টের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এক্ষেত্রে তিনি স্থানীয়ভাবে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পুকুর খননকারীদের সম্পর্কে তথ্য দেওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।