মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি: রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার শুকুরেরহাট ইসলামিয়া আলিম মাদরাসাসহ তিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিল স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাসহ পথচারীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠে। অবশেষে ইউএনওর উদ্যোগে রাস্তাটি অবমুক্ত করা হয়েছে। এতে খুশি শিক্ষক শিক্ষার্থীরাসহ স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ইউএনও বিকাশ চন্দ্র বর্মন ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে রাস্তা অবমুক্ত করার কাজ পর্যবেক্ষণ করেন। এ সময় পুলিশসহ স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার মোসলেম বাজার হতে রংপুর দর্শনামুখী রাস্তার সাথে সংযুক্ত শুকুরেরহাট ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার যাতায়াতের একটি হেরিংবন রাস্তা রয়েছে। রাস্তাটি উপজেলার অন্যতম শুকুরেরহাটের সাথেও সংযুক্ত। গত প্রায় ১ মাস আগে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি বালু ফেলে বন্ধ করে দেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। তারা দাবি করেন, বালু ফেলে দখলে নেওয়া জায়গাটা তাদের পৈতৃক সম্পত্তি। কিন্তু গত ৫০ বছর ধরে রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করে আসছেন তিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও জনসাধারণ। হঠাৎ রাস্তাটি বন্ধ করায় সর্বস্তরে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষার্থীরা। অভিযোগ ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ সূত্রে ঘটনাস্থলে এসে বন্ধ রাস্তাটি অবমুক্ত করেন ইউএনও।
শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা অনেক কষ্ট করে মাদরাসায় যাতায়াত করছিলাম। আজ (বৃহস্পতিবার) সমস্যার সমাধান হওয়ায় আমরা খুশি এবং আমাদের যে আন্দোলন করার কথা ছিল। আর প্রয়োজন নেই, কারণ ইউএনও বিষয়টি দেখছেন। মাদরাসার অধ্যক্ষ ফজলুল হক বলেন, মাদরাসাটি ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই রাস্তাটি দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা চলাচল করে আসছে। বন্ধ রাস্তা অবমুক্ত হওয়ায় ইউএনও'র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিকাশ চন্দ্র বর্মন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে যাতায়াত করা একটি রাস্তা বন্ধ করা আইনবিরোধী। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং জনস্বার্থে বিষয়টি অধিকতর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কেউ রাস্তা বন্ধ করতে পারবেনা। বাঁধা দিলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।