জসিম সিদ্দিকী, কক্সবাজার: বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির শায়খুল হাদীস আল্লামা মামুনুল হক বলেছেন, পতিত লেডি হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালে দুটি কাজ করেছে- একটি বিভাজনের রাজনীতি, অন্যটি প্রতিশোধের অপ-রাজনীতি। ৭৫ এর ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডে প্রত্যক্ষভাবে আওয়ামী লীগ জড়িত। পিতৃ ও মাতৃ হত্যার প্রতিশোধ নিতে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদের বাংলাদেশে কাফন পরিয়েছে। এখন হাসিনা ও আওয়ামী লীগের দাফনকার্য সম্পন্ন হবে দাদার দেশ ভারতে।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পালিয়ে যাওয়ার আগে শেখ হাসিনা তাঁর পোষা হেলমেট বাহিনী, হাতুড়ি বাহিনী ও অস্ত্রধারী পুলিশ বাহিনী দিয়ে জুলাই- আগস্ট বিপ্লবের অগ্র নায়ক বাংলাদেশের দামাল ছেলেদের পাখির মতো গুলি করে হত্যা করেছে। দেশকে তলাবিহীন ঝুঁড়িতে পরিণত করতে হাসিনা ও তাঁর স্বজনরা ব্যাংক লুট করে লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে। সুতরাং গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের রাজনীতি ছাত্রলীগের মতো নিষিদ্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জমিনে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই।
তিনি মঙ্গলবার ( ১৮ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে খেলাফত মজলিস কক্সবাজার জেলা শাখা আয়োজিত বিশাল গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
মামুনুল হক বলেন, নমরুদ,ফেরাউন, কানুন, আবু লাহাব, আবু জেহেলের উত্তরসূরী, পৃথিবীর নিকৃষ্টতর খুনি হাসিনা ভারতে পালিয়ে গিয়েও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, কলকাঠি নাড়ছে। ভারতকে বলবো, মৃত হাসিনাকে দিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আর ষড়যন্ত্র করবেন না। বাংলাদেশের মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করতে চাইলে পররাষ্ট্র নীতি সংস্কার করুন। তিনি বলেন, ৭২ এর সংবিধান মুছে ফেলতে হবে। কোরআন- সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন সংবিধানে সংযোজন করা যাবে না।
ঐতিহাসিক শাপলা চত্বর ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যার বিচার, জুলাই - আগষ্ট বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে আলেম সমাজের অবদানের স্বীকৃতি ও খেলাফত প্রতিষ্ঠার দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কক্সবাজারে এই গণসমাবেশের ডাক দেয়।
সমাবেশে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ শাপলা চত্বর রক্তে রঞ্জিত করেছে। ইসলাম পন্থীদের হত্যার আগে চরিত্র হনন করেছে। ফ্যাসিবাদ হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশ, ইসলামের বাংলাদেশ।
খেলাফত মজলিস কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আবছার উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা ইউসুফ আশরাফ, নায়েবে আমীর আল্লামা আলী ওসমান, বিএনপির কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক, সাবেক এমপি লুৎফর রহমান কাজল, নির্বাহী কমিটির সদস্য, সাবেক এমপি আলমগীর মুহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ ফরিদ, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় যুগ্ন মহাসচিব মাওলানা আতা উল্লাহ আমির, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ফয়সাল আহমদ প্রমূখ।