মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে যুবদল নেতার বিরুদ্ধে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় সোমবার (১২ মে) ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে জোরারগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। অভিযুক্ত যুবকের নাম আবুল কাশেম (৩৮)। তিনি উপজেলার ১ নম্বর করেরহাট ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য।
জানা যায়, ভুক্তভোগী তরুণী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। রবিবার বিকেলে প্রাইভেট থেকে এসে রান্না করছিলেন তিনি। এমন সময় স্থানীয় যুবক আবুল কাশেম বাড়ীর উঠোনে এসে তার কাছে পানি খেতে চান। পরে ঘরে ঢুকে ১০০ টাকা দিয়ে ওই তরুণীকে কুপ্রস্তাব দেন অভিযুক্ত যুবক। তরুণী প্রস্তাবে রাজি না হলে আবুল কাশেম তার মুখ চেপে ধরে তার সাথে জোরজবরদস্তি করেন। এসময় তরুণীর চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে আবুল কাশেম পালিয়ে যান।
ভুক্তভোগী তরুণীর মা বলেন, ‘রবিবার বিকেলে আমি ও আমার স্বামী বাড়ীর বাইরে কাজে থাকার সুযোগে ঘরে ঢুকে আবুল কাশেম আমার মেয়ের ওপর অত্যাচার করে। সন্ধ্যায় থানায় অভিযোগ করতে যাওয়ার পথে কয়লা বাজারে কিছু লোক আমাদের বাধা দিয়ে স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করে দেওয়ার কথা বলেন। পরে সোমবার বিকেলে জোরারগঞ্জ থানায় আমি একটি মামলা করেছি।’
তবে তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন যুবদল নেতা আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমি ওই তরুণীর বাবার কাছে টাকা পাই। সে টাকা উদ্ধার করতে তাদের বাড়ীতে গেলে মেয়েটির বাবার সাথে আমার কথা-কাটাকাটি হয়। পরে আমি তাদের বাড়ী থেকে চলে আসি। স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার ইন্ধনে আমার বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।’
এদিকে শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যকলাপের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সোমবার বিকেলে অভিযুক্ত আবুল কাশেমকে যুবদলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে বহিষ্কার করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে জোরারগঞ্জ থানা শাখা যুবদল।
তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগের বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম বলেন, ‘করেরহাট ইউনিয়নের কয়লা এলাকায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নবম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে রবিবার রাতেই সেখানে উপস্থিত হয়েছিল পুলিশের একটি পরিদর্শন টিম। প্রাথমিকভাবে এই ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। সোমবার বিকেলে ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে তা মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়। অভিযুক্ত আবুল কাশেমকে গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান চলমান।’