

মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন ক্যারিবীয় সাগরে গত ২ সেপ্টেম্বর পরিচালিত অভিযানের সময় সন্দেহভাজন ‘নার্কো-টেররিস্ট’ নৌযানের বিরুদ্ধে হামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া অ্যাডমিরাল মিচ ব্র্যাডলির পাশে দাঁড়িয়েছে।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি কিংসলে উইলসন বলেন, হোয়াইট হাউস গতকাল নিশ্চিত করেছে—নৌযানটিকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি হুমকি নির্মূল করতে অ্যাডমিরাল ব্র্যাডলি হামলার নির্দেশ দেন। সেক্রেটারি হেগসেথ অ্যাডমিরাল ব্র্যাডলির সিদ্ধান্তকে সম্পূর্ণ সমর্থন করেন।
সম্প্রতি ওয়াশিংটন পোস্ট-এর এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়—প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথই নাকি প্রথম দফা হামলায় সবাই নিহত না হওয়ায় দ্বিতীয় হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট সোমবার জানান, হেগসেথ ‘অ্যাডমিরাল ব্র্যাডলিকে অনুমোদন’ দিয়েছিলেন, আর সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়ন করেন ব্র্যাডলি নিজেই।
উইলসন আরও জানান, এখন পর্যন্ত পশ্চিম গোলার্ধে সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌযানের ওপর মোট ২১টি হামলা চালানো হয়েছে, যাতে ৮২ জন ‘নার্কো-টেররিস্ট’ নিহত হয়েছে। তার ভাষায়, প্রতিটি হামলাই যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় স্বার্থ রক্ষা এবং দেশের জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পরিচালিত হয়েছে—এগুলো সম্পূর্ণ বৈধ এবং সামরিক ও বেসামরিক উভয় পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ আইনি পরামর্শকদের অনুমোদিত।
তিনি অভিযোগ করেন, ওয়াশিংটন পোস্ট-এর একটি সম্পূর্ণ ভুয়া প্রতিবেদন এই সফল অভিযানে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছে, যা নিউইয়র্ক টাইমস ইতোমধ্যে ‘খণ্ডন’ করেছে।
মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উপস্থিত হয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হেগসেথ বলেন, আমরা মাত্র শুরু করেছি। যারা আমেরিকানদের বিষ দিচ্ছে, সেই নার্কো-টেররিস্টদের সমুদ্রে পাঠিয়ে দিচ্ছি। কিছুটা বিরতি ছিল, কারণ এখন আঘাত হানার মতো নৌযান খুঁজে পাওয়া কঠিন।
তিনি আরও বলেন, এই সব হামলায় মাটিতে থাকা কমান্ডাররা কঠিন পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। তারা দেশের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছেন। তারা সঠিক কাজই করেছেন—আমরা তাদের পাশে আছি।
পেন্টাগনের পক্ষ থেকে আবারও জানানো হয়, হামলাগুলো প্রেসিডেন্টের নির্দেশে পরিচালিত হচ্ছে এবং চেইন অব কমান্ড যথাযথভাবে কাজ করছে। উইলসন বলেন, মাঠে থাকা কমান্ডাররা পরিস্থিতি জানিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, তবে শেষ পর্যন্ত এসব আঘাতের রাজনৈতিক ও সামরিক নির্দেশনা প্রেসিডেন্ট এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দিক থেকেই আসে।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি

