

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির পরও একের পর এক হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)। দখলকৃত পশ্চিম তীরের হেবরন ও রামাল্লায় পৃথক ঘটনায় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে দুই ফিলিস্তিনি কিশোর নিহত হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, হেবরনের আবু দাজ্জান এলাকায় ১৭ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি মুহান্নাদ আল-যুঘাইর তাদের দুই সেনাকে লক্ষ্য করে হামলা চালানোর চেষ্টা করে। তাই, আত্মরক্ষার জন্যই পাল্টা হামলা করা হয়েছে।
তবে, রামাল্লা থেকে আল–জাজিরার সাংবাদিক নূর ওদেহ জানিয়েছেন, 'আসলে এমন কোনো হামলা ঘটেছিল কি না তা জানা যায়নি, কারণ কোনো তদন্তই শুরু হয়নি।'
তিনি আরও বলেন, 'কিশোরটি আহত অবস্থায় হেবরনের দিকে পালিয়ে যায়। পরে তাকে একটি গাড়ির ভেতর পাওয়া যায় এবং সেখানে তাকে হত্যা করা হয়। তার মরদেহ এখন ইসরায়েলি বাহিনীর হেফাজতে—যা এখন তাদের নিয়মিত প্রক্রিয়ায় পরিণত হয়েছে।'
এদিকে, রামাল্লার উত্তরে উম্ম সাফা গ্রামের কাছে ১৮ বছর বয়সী মুহাম্মদ আসমারকে হত্যা করেছে আইডিএফ। ওদেহ জানান, ওই তরুণকে প্রথমে আটক করে মাটিতে ফেলে রাখে সেনারা, এরপর তাকে সেখানেই গুলি করে ওই অবস্থায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেলে রাখা হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মৃত্যু হয় তার।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বসতি এলাকার কাছে সৈন্যদের ছুরিকাঘাতের চেষ্টা করায় এক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। মাগেন ডেভিড অ্যাডোম অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস জানিয়েছে, ঘটনাটিতে দুই ইসরায়েলি সামান্য আহত হয়েছে।
গোটা পশ্চিম তীরজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হেবরন এলাকার তিনটি হাসপাতালের আশপাশে অভিযান চালানো হয় এবং বেথলেহেমের পশ্চিমে আল–ওয়ালাজা গ্রামে দুটি অ্যাপার্টমেন্টে হামলা চালায় আইডিএফ।
এদিকে, ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা নাবলুসের উত্তর-পশ্চিমে বুরকা গ্রামে হামলা চালিয়ে একটি ট্রাক্টরে আগুন দেয় এবং আরেকটি গাড়িতে আগুন ধরানোর চেষ্টা করে।

