চীনের তৈরি জে-টেন যুদ্ধবিমানকে ডাকা হয় ভিগোরাস ড্রাগন নামেও। উন্নত স্টেলথ ও টার্গেটিং ক্ষমতা সমৃদ্ধ এ যুদ্ধবিমান দিয়েই সম্প্রতি রাফায়েলসহ ভারতের কমপক্ষে ৫টি যুদ্ধবিমান ধ্বংসের দাবি করে পাকিস্তান। দুই দেশের এই আকাশ যুদ্ধকে দেখা হচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সবচেয়ে ব্যাপক লড়াই হিসেবে।
যুদ্ধ বন্ধের সিদ্ধান্তের পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা অনেকটাই শান্ত হয়ে এসেছে। আলোচনা চলছে এ সংঘাতে দু’দেশের লাভ-ক্ষতির পাল্লা নিয়েও।
তবে, বিশেষজ্ঞদের মত, পাক-ভারতের হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনায় সবচেয়ে লাভবান হয়েছে চীন।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, পাক-ভারতের আকাশযুদ্ধকে কেন্দ্র করে মূল্যবান গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করেছে চীন। একই সাথে এ সংঘাতে চীনা যুদ্ধবিমান ব্যবহার হওয়ায় নিজেদের সামরিক প্রযুক্তি ও যুদ্ধবিমানের সক্ষমতা যাচাইয়ের বিরল সুযোগ পেয়েছে দেশটি।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ আলেকজান্ডার নেইল বলেছেন, মহাকাশ, ক্ষেপণাস্ত্র ও নজরদারি প্রযুক্তিতে চীনের আগের চেয়ে অনেক এগিয়ে গেছে। তাই প্রতিরক্ষা দৃষ্টিকোণ ভারত-পাকিস্তানের সংঘাত চীনের জন্য একটি দারুণ সুযোগ। বিশেষ করে দেশটির সীমান্ত ঘেঁষে যখন অন্যতম প্রতিপক্ষের অবস্থান।
চীনা যুদ্ধবিমানের সফলতা সামনে আসায় আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে চীনের সমরাস্ত্রের চাহিদা। এ সময় দেশটির ডিফেন্স স্টক প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। একই সাথে রাফায়েল ধ্বংসের বিষয়টি সামনে আসায় ফ্রান্সের মতো সমরাস্ত্র রফতানিকারী পশ্চিমা দেশগুলোও রয়েছে চাপের মুখে।
সামরিক বিশ্লেষক রিচার্ড ফিশার বললেন, পাকিস্তানের কাছে জে-টেন যুদ্ধবিমান রয়েছে। যদি কোনো যুদ্ধে এই ফাইটার জেট সফল হয়, তাহলে এটা চীনের সামরিক প্রযুক্তির সবচেয়ে কার্যকর প্রচারণা হবে।
পাকিস্তানকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক করিডোর ও স্ট্রিং অব পার্লসের মতো প্রকল্প রয়েছে চীনের। দিল্লি-ইসলামাবাদ সংঘাতে পাকিস্তানকে সর্মথনের মাধ্যমে চীন তার কৌশলগত মিত্র পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক আরও মজবুত করতে পেরেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।