

আবু হেনা সাকিল, রাবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) এ গেজেট থেকে বাদ পড়া ১৩ জনকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা গেজেট থেকে বাদ পড়া প্রার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করে সংশোধিত গেজেট প্রকাশ, বিজেএস পরীক্ষায় প্রাক-নিয়োগ জীবনবৃত্তান্ত যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার দাবি জানান।
মানববন্ধনে আইন বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী নেশাত তাসনিম মৃদুলা বলেন, আইন বিভাগ বরাবরের মতোই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের জুডিশিয়াল সার্ভিসে দীর্ঘদিন ধরে একটি বিষয় প্রতিষ্ঠিত—যোগ্যতম প্রার্থীদের বাছাইয়ের মাধ্যমে সুপারিশপ্রাপ্তদের গেজেটভুক্ত করা। কিন্তু এ বছর প্রকাশিত গেজেটে ১৩ জন সুপারিশপ্রাপ্ত যোগ্য প্রার্থীকে অযৌক্তিকভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, যে সময়ে বাংলাদেশ অপসংস্কৃতি, অপরাধনীতি, বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র গঠনের প্রত্যয়ে এগিয়ে চলছে, সে সময়ে এমন বৈষম্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাই আমরা আইন বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছি এবং প্যারিস রোডে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছি। আমরা চাই আমাদের ১৩ জন সুপারিশপ্রাপ্ত ভাই–বোনকে অনতিবিলম্বে গেজেটভুক্ত করা হোক।
একই বর্ষের শিক্ষার্থী মাহাদী হাসান বলেন, ১৭তম জুডিশিয়াল সার্ভিসের ফল প্রকাশিত হওয়ার পর আমরা দেখতে পাই—আমাদের ১৩ জন যোগ্য ও সুপারিশপ্রাপ্ত ভাই–বোনকে গেজেটভুক্ত করা হয়নি। তিনি সংবিধানের ২৭ নং অনুচ্ছেদ উল্লেখ করে বলেন, রাষ্ট্র সরকারি চাকরিতে সবার জন্য সমঅধিকার নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেছে।কিন্তু একজন শিক্ষার্থী প্রিলিমিনারি, রিটেন ও ভাইভা তিনটি ধাপে উত্তীর্ণ হওয়ার পরও গেজেটভুক্ত না হওয়া নিঃসন্দেহে একটি অপসংস্কৃতি।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে যে প্রহসনমূলক আচরণ দেখা যাচ্ছে, তা আমাদের পূর্বের ফ্যাসিস্ট আমলের স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়। ২০২৪ সালের আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল বৈষম্য দূর করা ও মেধার জয় নিশ্চিত করা। দুই হাজারেরও বেশি শহীদের আত্মদান সত্ত্বেও আজও আমরা এমন অন্যায় ও বৈষম্যের পুনরাবৃত্তি দেখতে পাচ্ছি যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

