

আবু হেনা সাকিল, রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কার্যক্রমের প্রতিবাদে লাঠি হাতে ক্যাম্পাসে সারা রাত পাঁয়তারা করেছেন রাকসুর নেতাকর্মীরা। বুধবার (১২ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বরে রাকসুর উদ্যোগে এক গণজমায়েতের মধ্যে দিয়ে তাদের এই কার্যক্রম শুরু হয়।
রাকসুর নেতারা জানান, তারা ক্যাম্পাসে আনন্দঘন পরিবেশে অবস্থান নিয়েছিল এবং রাতে নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন গেইটে গ্রুপভিত্তিক ভাবে অবস্থান করেন। তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে, "এক একটা লীগ ধর, ধরে ধরে জবাই কর। হই হই রই রই, কুত্তা লীগ গেল কই?" সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
রাকসুর ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ সংগঠন বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) নৃশংস কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা নিয়েছে। সেই আশঙ্কায় আমরা রাত ৮টা থেকে ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়েছি। ১৬ জুলাই যেভাবে তাদের ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল, ঠিক সেভাবেই এবারও আমরা তাদের প্রবেশ ঠেকাবো।
রাকসুর জিএস সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, আওয়ামী লীগ যতবার নিজেদের শক্তিশালী দেখানোর চেষ্টা করবে, আমরা ততবারই ১৬ জুলাইয়ের মতো লাঠি হাতে দাঁড়াবো। কেউ যদি ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ পরিচয় দেয়, তবে খারাপ কিছু হতে পারে। জুলাইয়ে যেমন লাঠির দ্বারাই তারা ক্যাম্পাস ছেড়েছিল, এবারও তাই হবে।
তিনি আরও বলেন, জেন-জি রা ঘরে ফেরে নাই। ছাত্রলীগ প্রশ্নে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, বাম, ডান সবাই এক। সুতরাং তাদের বাথরুমে পোস্টার মেরেই ক্ষান্ত থাকা উচিত। অন্যথায় তাদেরকে পূর্বের ঘটনা মনে করিয়ে দেওয়া হবে।
রাকসুর মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সায়েদা হাফসা বলেন, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে আমরা আজ এখানে একত্র হয়েছি। আমরা চাই ক্যাম্পাস সব সময় নিরাপদ থাকুক এবং কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এখানে প্রবেশ না করুক।
গণ জমায়েতে উপস্থিত ছিলেন রাকসুর কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ নির্বাচনে জয়ী ও পরাজিত প্রতিনিধিরা। তবে নারী শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম ছিল।

