পাবনার চাটমোহরে ঈদগাহ মাঠ নিয়ে দুই গ্রামের বিরোধ তীব্র আকার ধারণ করেছে। সরকারি জমিতে থাকা মাঠটিকে নিজেদের দাবি করছে আটলংকা গ্রামের বাসিন্দারা। এ দাবি মানছে না পার্শ্ববর্তী বন্যাগাড়ি গ্রাম। বিষয়টি কেন্দ্র করে দুই গ্রামের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে। বন্ধ হয়ে গেছে পারস্পরিক চলাচল, মুখ দেখাদেখিও বন্ধ।
ইউনিয়নের আটলংকা বাজারসংলগ্ন সরকারি জমিতে অবস্থিত ঈদগাহ মাঠটি দুই গ্রামের মানুষ যুগ যুগ ধরে ব্যবহার করে আসছিল। কিন্তু সম্প্রতি আটলংকার বাসিন্দারা দাবি করেন, মাঠটি শুধুমাত্র তাদের। এতে ক্ষুব্ধ হয় বন্যাগাড়ির লোকজন। ২ অক্টোবর সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষ, আহত হয় কয়েকজন।
পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, আটলংকা বাজারের প্রায় ৩০টি দোকান বন্ধ রয়েছে গত ১৫ দিন ধরে। এর মধ্যে বন্যাগাড়ি গ্রামের ব্যবসায়ীদের দোকানের সংখ্যা ২০টির মতো। কেউ কারও বাজারে যেতে পারছে না, আশপাশে ছায়া মাড়ানো পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছেন গ্রামবাসী।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, অর্ধশতাধিক দোকানের অধিকাংশই তালাবদ্ধ। জনমানবশূন্য পুরো এলাকা যেন থমথমে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, হুমকির কারণে তারা দোকান খুলতে পারছেন না। অনেকে পরিবার নিয়ে চরম সংকটে রয়েছেন।
ব্যবসায়ী ফজলুল হক বলেন, ‘সমস্যা প্রধানদের মধ্যে, ভোগান্তি হচ্ছে আমাদের। দোকান বন্ধ থাকায় ঋণের কিস্তি পর্যন্ত দিতে পারছি না।’
অন্যদিকে আটলংকা গ্রামের বাসিন্দা হারেস আলী অভিযোগ করেন, তাদের গ্রামের রাস্তা আটকে রাখা হয়েছে। এমনকি নারীদেরও স্কুলে যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনজুরুল আলম বলেন, ঈদগাহ মাঠের জায়গাটি সরকারি। উপজেলা প্রশাসন সেখানে সরকারি সাইনবোর্ডও টাঙিয়েছে। সমস্যা মীমাংসায় দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। অচিরেই সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।