মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় চাঁদা না দেওয়ায় দাড়ি ধরে টানাটানি, অশালীন ভাষায় গালাগালসহ মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে নাসিম ভূঁইয়া নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
সোমবার (২৩ জুন) রাত ৯ টার দিকে উপজেলার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মানিক কম্পিউটার নামের দোকানের ভেতরে এই ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী আলী আজম মানিক (৩৩) এ ঘটনার পরপরই ঘিওর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। তবে অভিযোগ দেওয়ার ১৬ ঘন্টা পার হলেও অভিযুক্ত নাসিমকে এখনও আটক বা গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
মঙ্গলাবার (২৪ জুন) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে ঘিওর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
লিখিত অভিযোগ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত নাসিম ভূইয়া প্রায়ই ভুক্তভোগী আলী আজম মানিকের দোকানে বিভিন্ন কাজ নিয়ে আসতো। তবে কাজ শেষে ঠিকমত টাকা দিতো না। পাওনা টাকা চাইলেই নানা ভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দেওয়াসহ চাঁদা দাবি করে। কিন্তু চাঁদা দিতে অনীহা প্রকাশ করলে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি ভুক্তভোগীকে ব্যবসা করতে দিবে না বলেও হুমকি দেয়। গতকাল রাতে জরুরি কিছু কাজ নিয়ে তার দোকানে যান নাসিম। তবে অন্য একজন কাস্টমারের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় তাকে অপেক্ষা করতে বলায় ক্ষীপ্ত হয়ে যান এবং ভুক্তভোগীর দাড়ি ধরে টানা হ্যাচড়া করে এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালসহ মারধর করে নাসিম। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগীকে মেরে হাত পা ভেঙ্গে দেওয়াসহ ব্যবসা করতে দিবে না বলে হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায় অভিযুক্ত নাসিম। এ ঘটনার পরে ভুক্তভোগী ঘটনার দিনে রাতেই ঘিওর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ পাওয়ার পরে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানায় পুলিশ।
ঘিওর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান খান কুদরত বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি, তবে নাসিম আমাদের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়। তাকে কখনও কোন মিটিং বা মিছিল করতে দেখেনি।
এ বিষয়ে জানতে ভুক্তভোগী আলী আজম মানিকের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘ওনি (অভিযুক্ত) নাসিম আমার দোকানে প্রায়ই বিভিন্ন কাজ নিয়ে আসতো। আমি তার কাজগুলো করেও দেই। কিন্তু কাজ শেষ করে ঠিকমত কাজের টাকা দিতো না। আমি তার কাছে পাওনা টাকা চাইলেও আমাকে হুমকি দিতো, আমাকে ব্যবসা করতে দিবে না। গতকাল রাতে জমির খারিজের কাজ করে দোকানে আসে। দোকানে অন্য কাস্টমার থাকায় তাকে অপেক্ষা করতে বলি। এরপরই তিনি আমার উপর ক্ষীপ্ত হয়ে যান এবং আমার দাড়ি ধরে টান হ্যাচড়া করেন এবং অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। আমি থানায় অভিযোগ করেছি এবং এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করি।
এ বিষয়ে ঘিওর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।