মাঈন উদ্দিন সরকার রয়েল, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি: নেত্রকোনার দুই উপজেলা কেন্দুয়া ও মদনকে পৃথক করে রেখেছে কৈজানি নদী। এখানে একটি সেতু নির্মাণ করলে বদলে যাবে দুই জনপদের জীবনযাত্রার মান। বেঁচে যাবে হাজারো কর্মঘণ্টা এবং তৈরি হবে দৃঢ় সেতুবন্ধন।
খড়স্রোতা কৈজানি নদীর ফেরিঘাট দিয়ে প্রতিনিয়ত শত শত মানুষের চলাচল। শিক্ষার্থী, শ্রমজীবী, কৃষকসহ হাজারো সাধারণ মানুষ দৈনন্দিন কাজে নদীর এপার ওপার যাতায়াতে বছরের পর বছর ধরে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
সারা দেশে উন্নয়নের অংশ হিসেবে নদীটির দুই পাশের মাটির রাস্তা করা হলেও সেতুটি নির্মাণের কোনো প্রকল্প আজও দৃশ্যমান হয়নি। ফলে, লাখো মানুষের প্রাণের দাবি কৈজানি সেতু আদৌ নির্মাণ হবে কি না সে ব্যাপারে সন্দিহান এ এলাকার মানুষ।
মদন উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়ন ও কেন্দুয়া উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের লোকেরা ছোট বড় যানবাহন নিয়ে প্রতিনিয়তই নৌকা যোগে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই পথ দিয়ে চলাচল করে। দুই এলাকার মানুষের জীবন কৃষি নির্ভর হওয়ায় প্রতিনিয়ত গবাদিপশু ও ফসল আনা নেয়া করতে হয় এই পথে। সাইডুলী নদী ও ধলাই নদীর পানি কৈজানি দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার কারণে এর স্রোত পাড়ি দিয়ে বৈশাখ মাসে বোরো ধান ও অন্যান্য ফসল পারাপারে কৃষকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কৈজানি ফেরিঘাটে একটি সেতু হলে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ অনেকাংশেই কমে যাবে।
স্থানীয়রা জানান, পাকিস্তান আমল থেকে অদ্যাবধি উন্নয়নের ছোঁয়া পড়েনি এই এলাকাটিতে। এ বিষয়ে উভয় এলালাবাসীর বক্তব্য, এই সেতুটি আমাদের প্রাণের দাবি। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তারা আরও জানান, কৈজানি নদীর ওপর একটি সেতু তৈরি খুবই জরুরি এবং এটি হলে দুই এলাকার জনপদের সেতুবন্ধন আরো দৃঢ় হবে, দূর হবে সকল কষ্ট, দুর্দশা।