মোঃ ইব্রাহীম মিঞা, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বিরামপুরে মাদ্রাসার নামে চাঁদা আদায় এবং ঝাঁড়-ফুঁ দিতে গ্রামে গ্রামে মাঝেমধ্যেই আসেন সুজন ইসলাম (২৯)। সে একজন তান্ত্রিক (ঝাড় ফুঁ) পরিচয়ে বিভিন্ন এলাকায় কবিরাজি চিকিৎসা করে বেড়ায়। তার দেওয়া পানি পড়া পান করলে নাবালিকা মেয়ের বুদ্ধিমত্তা বৃদ্ধি এবং জীনের আঁচর হইতে রেহাই পাওয়া যায়। এমন কথা বলে আদিবাসী পরিবারের এক নাবালিকাকে একপাত্র পানি নিয়ে ঘরের মধ্যে দরজা বন্ধ করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার খানপুর ইউনিয়নে।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) আনুমানিক দুপুর দেড় ঘটিকায় বিরামপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের রতনপুর চান্দু পাড়া গ্রামে এক আদিবাসী নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামি সুজন মাদ্রাসার নামে চাঁদা আদায় এবং ঝাঁড়-ফুঁ দিতে গ্রামে গ্রামে মাঝে মধ্যেই আসেন। সে তান্ত্রিক (ঝাড় ফুঁ) পরিচয়ে বিভিন্ন এলাকায় কবিরাজি চিকিৎসা করে বেড়ায়। উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের রতনপুর চান্দু পাড়া গ্রামে আদিবাসী এক বাড়িতে সাহায্য চাওয়ার উদ্দেশ্যে প্রবেশ করে। বাড়িতে নাবালিকা মেয়েকে দেখে তাঁর যৌন কামনা পূরণের লক্ষ্যে নাবলিকা মেয়ের বুদ্ধিমত্তা বৃদ্ধি এবং জীনের আঁচর হইতে মুক্তি পাওয়ার জন্য তাঁর বাবাকে পড়া পানি মেয়েকে খাওয়াতে বলে। মেয়ের বাবা সরল মনে তাঁর কথা বিশ্বাস করে একপাত্র পানি নিয়ে আসলে কবিরাজ(সুজন) পানির পাত্র সাথে নিয়ে মেয়ের বাবা ও মা এর চতুর্দিকে একটা দাগ কেটে দেয় এবং মেয়ের বাবা ও মাকে বলেন যদি এই দাগের বাহিরে বের হয় তাহলে জ্বীনেরা তাঁর পরিবারের বড় ধরনের ক্ষতি করবে। এই বলে পানির পাত্রসহ নাবালিকা মেয়েকে নিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
আদিবাসী নাবালিকা মেয়ে চিৎকার করে ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। ঘটনাটি জানতে পেরে মেয়ের বাবা কবিরাজকে (সুজন) স্থানীয়দের সহযোগিতায় আটক করে। এসময় স্থানীয়রা আটক কবিরাজকে গণধোলাই দেয়। পরবর্তীতে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে বিরামপুর থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করে।
আটককৃত আসামি (ধর্ষক) সুজন ইসলাম দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার আলাদিপুর (বিমলপুর) এলাকার মৃত ফরমান আলীর ছেলে।
বিরামপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মমতাজুল হক জানান, এ বিষয়ে বিরামপুর থানায় শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামিকে আজ সোমবার আদালতে পাঠানো হবে।