চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল আর টানা বর্ষণে ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বৃদ্ধির কারণে রৌমারী ঘাটে রাখা পন্টুন এবং সংযোগ সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়েছে।গত মঙ্গলবার থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন পণ্যবাহী পরিবহনের চালক ও শ্রমিকরা। ফেরি ঘাটে হাই ওয়াটার-লো ওয়াটার পন্টুন রাখার দাবী জানিয়েছেন।
জানা গেছে,বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ(বিআইডব্লিউএ)’র উদ্যোগে চিলমারী-রৌমারী নৌপথে দীর্ঘদিন ধরে দুটি ফেরি চলাচল করছে। ফেরি দুটির মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত পণ্যবাহীসহ বিভিন্ন প্রকার পরিবহন পারাপার করে আসছে। প্রতি ট্রিপে ফেরী কুঞ্জলতা ৮/৯টি ও কদম ৮/৯ টি পণ্যবাহী গাড়ি পারাপার করতে পারে। নদে নাব্যতা সংকটের কারণে দীর্ঘ ৫মাস বন্ধ থাকার পর গত ২২মে তারিখ থেকে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়ে একটি ফেরি মেরামতের জন্য রেখে অপর ফেরিটি কোন রকমে দিনে একবার পারাপার করে আসছে।
বর্তমানে ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গত মঙ্গলবার রৌমারী ঘাটে রাখা পন্টুনের সাথে রাস্তার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ফলে ওই দিন থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফেরি বন্ধ থাকায় পার হতে আসা বেশকিছু পণ্যবাহী ট্রাক ফেরত চলে গেলেও আরো কিছু পাথর বোঝাই ট্রাককে কয়েকদিন ধরে রাস্তায় দাড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এতে সময় মত পার হতে না পারায় ঘাট এলাকার রাস্তায় ফেরি পারাপারের জন্য অপেক্ষমান পরিবহন শ্রমিকদের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। এটিকে ঈদের সামনে কর্তৃপক্ষের সাজানো নাটক বলে অভিযোগ করছেন এলাকাবাসী। ফেরি ঘাটে হাই ওয়াটার-লো ওয়াটার পন্টুন রাখার দাবী জানান এলাকাবাসী।
বুধবার দুপুরে ঘাট এলাকায় গিয়ে জানা যায়, ২দিন ধরে ফেরি বন্ধ থাকায় রাস্তায় বেশকিছু পণ্যবাহী পরিবহন ফেরি পারাপারের জন্য অপেক্ষা করে আজ ফেরত গেছে।
বিআইডব্লিউটিসি’র ম্যানেজার বাণিজ্য প্রফুল্ল চৌহান বলেন,বন্যায় সংযোগ সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় ফেরি চলাচলা বন্ধ রয়েছে।ঘাটে পানি বৃদ্ধি পেলে হাই ওয়াটার পন্টুন না থাকায় ফেরি ওঠা-নামা করা যাচ্ছে না। পানি নেমে গেলে ফেরি যথা নিয়মে চলাচল করবে।