মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি: রংপুরের মিঠাপুকুরে এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা করার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন মিঠাপুকুর প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন মিঠাপুকুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সাদী সরকার ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রিপুল। এছাড়াও পৃথকভাবে এ মামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাব ও রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও যমুনা টেলিভিশনের রংপুর ব্যুরো সরকার মাজহারুল মান্নান।
হয়রানিমূলক এ মামলার প্রতিবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। সাংবাদিক সমাজ মনে করছেন এ মামলা পেশাদার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে স্বার্থান্বেষী মহলের যড়যন্ত্র। বিবৃতিতে মিঠাপুকুর প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক ও দৈনিক সকালের বাণী'র মিঠাপুকুর উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক আমিরুল কবির সুজন'র বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে জানানো হয়, গত ৭ ডিসেম্বর ২০২৪ সালে "সিনেমার গল্পকেও হার মানায় কোহিনুর" শিরোনামে অনুসন্ধানমূলক সংবাদ প্রকাশ করেন দৈনিক সকালের বাণী'র মিঠাপুকুর উপজেলা প্রতিনিধি আমিরুল কবির সুজন। একই সংবাদ আরও দুই সাংবাদিকসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়। কিন্তু উদেশ্য প্রণোদিতভাবে একাধিক মামলার বাদী কোহিনুর বেগম সাংবাদিক আমিরুল কবির সুজন'র বিরুদ্ধে গত ২৩ জানুয়ারি রংপুর সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলার আবেদন করেন। পরবর্তীতে মামলাটি মিঠাপুকুর থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সংবাদের শিরোনাম এবং এখনকার হয়রানিমূলক এই মামলা প্রমাণ করে সংবাদের সঠিকতা। মূলত উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের রুপসী গ্রামের কোহিনুর বেগম একই গ্রামের ৪টি পরিবার এবং প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা এবং থানায় অভিযোগ দিয়ে হয়রানির অভিযোগে অনুসন্ধানমূলক সংবাদ প্রকাশ করেন সাংবাদিকরা। কিন্তু সঠিক তথ্য প্রকাশ করায় উল্টো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কোহিনুর বেগম বাদী হয়ে মামলা করেছেন। বিষয়টি গভীর যড়যন্ত্র এবং পেশাদার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কন্ঠরোধের অংশ বলে মনে করছেন সাংবাদিকরা।
বিবৃতিতে সাংবাদিক আমিরুল কবির সুজন'র বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার করার পাশাপাশি কোহিনুর বেগমকে গ্রেফতার এবং তার করা প্রত্যেকটি মামলা এবং থানায় দেওয়া অভিযোগের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। অন্যথায় মিঠাপুকুর প্রেসক্লাব এ ব্যাপারে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে দাবি জানানো হয়েছে।
মিঠাপুকুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে বিস্তর তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।