ইব্রাহীম মিঞা, বিরামপুর(দিনাজপুর)প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বিরামপুর পশু হাটে ও উপজেলা ছোট যমুনা নদীতে উপজেলা মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে নিষিদ্ধ জাল উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। বিরামপুর পশু হাটে মৎস কর্মকর্তার অভিযানে ৮ টি নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করেছে বিরামপুর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মৎস্য দপ্তর। এছাড়াও উপজেলার ছোট যমুনা নদী ও মৎস্য অভায়াশ্রমের পাশে অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ২ টি কারেন্ট জাল ও ১ টি চায়না দুয়ারি জাল (শয়তান জাল) জব্দ করে উপজেলা মৎস্য দপ্তর।
শনিবার (১৭ মে) দুপুর আনুমানিক সাড়ে ৩ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিরামপুর পশু হাটে ও উপজেলার ছোট যমুনা নদীতে অবৈধ চায়না দুয়ারি জাল উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন বিরামপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সালমা আক্তার সুমি। এসময় অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা প্ৰদান করেন উপজেলা মৎস্য অফিসের কর্মচারীগণ।অভিযানে ১০ টি নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও ১ টি চায়না দুয়ারী জাল জব্দ করা হয়েছে।যা প্রায় ১৫০ মিটার যার আনুমানিক মূল্য ৫০০০ টাকা। এছাড়াও ছোট যমুনা নদীতে মাছের উন্মুক্ত বিচরণে বাধা সৃষ্টির লক্ষ্যে মশারী দিয়ে তৈরি ঘেরসমূহ নষ্ট করে দেয়া হয়।অভিযান পরিচালনার সময় উপস্থিত জনসাধারণকে দেশীয় মাছ সংরক্ষণের জন্য সকলকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। পরবর্তীতে জব্দকৃত জালসমূহ উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশক্রমে প্রকাশ্য দিবালোকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এনামুল হক চৌধুরী, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা লুৎফর রহমান।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সালমা আক্তার সুমি জানান, মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন-১৯৫০ অনুযায়ী এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।উপজেলার বিভিন্ন বিলসহ উন্মুক্ত জলাশয়ে মৎস্য অভয়াশ্রমে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এছাড়াও তিনি বলেন, অভিযানে জব্দকৃত জালগুলোয় মা ও পোনা মাছ,কুঁচিয়া, কাঁকড়া ,সাপ, ব্যাংঙ সহ বিভিন্ন ধরনের মাছ ধরা পড়ে এর ফলে জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের মুখে।নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ ধরা ও উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে নিষিদ্ধ জাল ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ করার লক্ষ্যে আমাদের এই ধরণের অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।