সোহেল তালুকদার, শান্তিগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি: শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের বলেছেন, সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পূর্ব নির্ধারিত স্থানেই দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্মাণ করা হবে। তিনি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা নির্ধারণ ও সয়েল টেস্ট, ডিজাইন সহ এতোমধ্যে অনেক কাজ শেষ হয়ে গেছে। এখন শুধু ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করার বাকি রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা পরিবর্তনের ব্যাপারে তিনি বলেন, এই মুহুর্তে জায়গা পরিবর্তনের কোন সুযোগ নাই।
শুক্রবার (০২ মে) সকালে সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে জিএসটি-গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা ২০২৪-২০২৫ এর বি ইউনিটের পরীক্ষা পরিদর্শন কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘এই সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের যে প্রকল্পগুলি ডিজাইন, জমি অধিগ্রহণ নিয়ে শুরু থেকেই অনেক জটিলতা থাকে, ৩ বছরের প্রকল্প গুলো ১২ বছর ১৬ বছর লেগে যায়। এক্ষেত্রে সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আলাদা। এর কারণ হলো, বিশ্ববিদ্যালটির ইনর্ফাটেকচার নির্মাণের যে বৃহৎ কাজ অর্থাৎ জায়গা নির্ধারণ, ডিজাইন ও সয়েল টেস্ট সেটি এতোমধ্যে হয়ে গেছে। এখন শুধু ভবন গুলো নির্মাণের বাকি, তাই এই মুর্হুতে জায়গা পরিবর্তনের কোন সুযোগ নাই। আগামী কিছুদিনে মধ্যেই ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে যাবে। ’
তিনি আরো বলেন, ‘শিক্ষা পদ্ধতি কেবল পাঠদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। শিক্ষাক্ষেত্রে যেসকল উপকরণ আছে যেমন, শিক্ষকদের প্রশিক্ষিত করা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য আমরা বেশ কয়েকটি প্রকল্পের আওতায় কাজ শুরু করেছি। নতুন নতুন ভবন নির্মান হচ্ছে, আধুনিক ল্যাবরেটরির কাজ হচ্ছে, কম্পিউটার ল্যাবরেটরীর কাজ হচ্ছে। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এক বা একাধিক মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম চালু করতে কাজ করছি। ইতিমধ্যে আছে, আরো বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছি।’
বই সংকট নিরসরে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন গতবছর একদম শেষ সময়ে এসে আমাদের বইয়ের কারিকুলামে পরিবর্তন করতে হয়েছে। ফলে বই মুদ্রনের কাজটা আমরা দেরিতে শুরু করেছি। কিন্তু দেখবেন বিগত ২০ বছরের ইতিহাসে ২০১৭ সাল ছাড়া একটি বছরও এপ্রিল মাসের আগে পুরোপুরি বই বিতরণ করা যায়নি। এবছর কিন্তু আমরা ২০ মার্চের আগে সকল প্রতিষ্ঠানে বই পৌঁছে দিয়েছি। যেহেতু রমজান মাস ছিল সব বাচ্চারা স্কুলে আসেনি তাই তারা বই পেয়েছে স্কুল ছুটির পরে। তবে আগামী বছরের জন্য আমরা এমনভাবে পরিকল্পনা সাজিয়েছি যেন এবছর ডিসেম্বরে বার্ষিক পরীক্ষার শেষ দিন শিক্ষার্থীরা বই নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নিজাম উদ্দিন, ডিন হারুন অর রশিদ, প্রক্টর ড. সেখ আব্দুল লতিফসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, সিলেট বিভাগের একমাত্র পরীক্ষাকেন্দ্র হিসেবে সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সুবিপ্রবি) আজ দ্বিতীয় ধাপে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ‘বি’ ইউনিটের ৯’শ ২২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৮’শ ১৬ জন ভর্তিচ্ছু পরীক্ষায় অংশ নেন। উপস্থিতির হার ৮৮ দশমিক ৫ জন। এর আগে গত ২৫ এপ্রিল প্রথম ধাপে 'সি' ইউনিটে ২২৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৯৫ জন ভর্তিচ্ছু অংশ নেন। এছাড়া আগামী ৯ মে ৩য় ধাপে ‘এ’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ২ হাজার ৮’শ ৫৪ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবেন।