ঢাকা
১লা মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
রাত ৯:৫৭
logo
প্রকাশিত : মে ১, ২০২৫

কালবৈশাখীতে বিধ্বস্ত স্কুল ভবন, পাঠদান ব্যাহত

এম আনোয়ার হোসেন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: কালবৈশাখী ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে স্কুল ভবন। এতে করে পাঠদান চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিধ্বস্ত ভবন মেরামতের অর্থও নেই স্কুল তহবিলে। তাই ওই ভবনে পাঠদান চালু করা নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছে না। ভবন সংকটে যে বেঞ্চে পূর্বে ৩ জন শিক্ষার্থী বসে পাঠগ্রহণ করতো এখন সেখানে বসছে ৫ জন শিক্ষার্থী। যে কক্ষে ১ শ্রেণীর পাঠদান চলতো এখন গাদাগাদি করে সেখানে চলছে দুই শ্রেণীর পাঠদান। এমনই চিত্রের দেখা মিলে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার ইছাখালী ইউনিয়নের চরশরত মডেল হাই স্কুলে।

সরেজমিনে চরশরত মডেল হাই স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, গত ২১ এপ্রিল ভোররাতের কালবৈশাখী ঝড়ে স্কুলের একটি ভবন পুরোপুরিভাবে বিধ্বস্ত হয়। উড়ে যায় ওই ভবনের টিনের চালা। নষ্ট হয়ে যায় ১০ টি বেঞ্চ, সিলিং ফ্যানসহ বেশকিছু আসবাবপত্র। বর্তমানে ওই ভবনে ক্লাশ করার মতো কোন উপায় নেই। বিধ্বস্ত ভবনে পূর্বে ষষ্ঠ ও অষ্টম শ্রেণীর ১১০ জন শিক্ষার্থীকে পাঠদান করা হতো। ভবনটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর স্কুলের নবম ও দশম শ্রেণীর কক্ষে গাদাগাদি করে পাঠগ্রহণ করছেন শিক্ষার্থীরা। আগে যেই বেঞ্চে ৩ জন বসে পাঠগ্রহণ করতো এখন সেই বেঞ্চে ৫ জন গাদাগাদি করে পাঠগ্রহণ করছেন।

স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, ২০০৯ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে নানা সংকট লেগেই রয়েছে। এরিমধ্যে ২০২৩ সালে নির্মিত সেমিপাকা ভবনটি কালবৈশাখী ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়। ভবনটি মেরামতে প্রয়োজন প্রায় ৩ লক্ষ টাকা। কিন্তু স্কুল তহবিলে ওই পরিমাণ অর্থ নেই। তাই ওই ভবনে পাঠদান কবে নাগাদ চালু করা যাবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছে না। এদিকে ২৩ এপ্রিল স্কুল ভবনটি মেরামতের জন্য আর্থিক সহযোগিতা চেয়ে মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত আবেদন করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাজিব নাথ। তবে এখনো কোন সহযোগিতা পাননি।

স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী আফিয়া আনজুম বলেন, ‘ঝড়ে আমাদের শ্রেণী কক্ষ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আমরা এখন নবম শ্রেণীর সাথে ক্লাশ করছি। আগে আমরা ১ বেঞ্চে ৩ জন করে বসতাম এখন ৫ জন করে বসতে হয়। আমাদের ক্লাশ রুটিন এলোমেলো হয়ে গেছে। একটি কক্ষে দুইটি শ্রেণীর ক্লাশ হওয়ার কারণে আমরা শিক্ষকদের কথা ভালোভাবে বুঝতে পারিনা।’

স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী তাহুরা আক্তার বলেন, ‘আমাদের শ্রেণী কক্ষ কালবৈশাখী ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়ে ক্লাশ করার মতো কোন উপায়ান্ত নেই। এখন আমরা দশম শ্রেণীতে ক্লাশ করছি। একটি কক্ষে দুইটি শ্রেণীর পাঠদানের কারণে আমাদের পড়াশোনায় অনেক সমস্যা হচ্ছে।’

স্কুলের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আবু রায়হান, জ্যোতি দাশ ও শাহানা আক্তার জানান, এমনিতেই স্কুলের ভবন সংকট। এরিমধ্যে ঝড়ে একটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটি দ্রুত মেরামত করা না হলে ষষ্ঠ, অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা চরমভাবে ব্যাহত হবে। তাই ভবন মেরামতে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক আবদুর রব বলেন, ‘স্কুল ভবন ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর বর্তমানে একটি কক্ষে দুইটি শ্রেনীর পাঠদান কার্য্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে। এতে করে আমরা শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে পাঠদান করতে পারছি না এবং শিক্ষার্থীরাও পাঠে মনোযোগ দিতে পারছে। তাই দ্রুত স্কুল ভবনটি মেরামতে আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন।’

স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাজিব নাথ বলেন, ‘কালবৈশাখী ঝড়ে স্কুলের ৫৮ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২২ ফুট প্রস্থের একটি ভবন মারাত্নকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝড়ের তীব্রতায় ভবনের শ্রেণী কক্ষের টিনের চালা উড়ে গিয়ে কক্ষগুলোর আসবাবপত্রেরও ক্ষতি হয়েছে। এই অবস্থায় শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক শ্রেণী কার্যক্রম পরিচালনা করা অত্যন্ত দুরুহ হয়ে পড়েছে। দ্রুত ভবনটি মেরামত করা অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে। মেরামতে ব্যয় হবে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা। কিন্তু স্কুল তহবিল থেকে এই ব্যয় নির্বাহ করা মোটেও সম্ভব নয়।’

logo
প্রকাশকঃ অধ্যাপক ড. জোবায়ের আলম
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ তাপস রায় সরকার
মোবাইল: +৮৮০ ১৭৩৬ ৭৮৬৯১৫
কার্যালয় : বিটিটিসি বিল্ডিং (লেভেল:০৩), ২৭০/বি, তেজগাঁও (আই/এ), ঢাকা-১২০৮
মোবাইল: +880 2-8878026, +880 1736 786915, +880 1300 126 624
ইমেইল: tbtbangla@gmail.com (online), ads@thebangladeshtoday.com (adv) newsbangla@thebangladeshtoday.com (Print)
বাংলাদেশ টুডে কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বে-আইনী।
Copyright © 2025 The Bangladesh Today. All Rights Reserved.
Host by
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram