অতুল পাল, বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর বাউফলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুরুতর আহত মো. শাহ আলম রাঢ়ী (৫০) নামের এক ব্যক্তির চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত ব্যক্তির বাড়ি বাউফল সদর ইউনিয়নের গোসিংগা গ্রামে।
সূত্র থেকে জানা গেছে, গত ২১ মার্চ, ছাগলে ক্ষেতের ফসল নষ্ট করাকে কেন্দ্র করে গোসিংগা গ্রামে শাহ আলম রাঢ়ীর স্ত্রী নাজমা বেগমের সঙ্গে একই গ্রামের প্রতিবেশী রাজু ঘরামির (৬০) কথা কাটাকাটি হয়। ওই ঘটনার জেরে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে রাজু ঘরামি প্রায় ২০-২৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল নিয়ে শাহ আলমের বাড়িতে হামলা চালায়। ওই সময় নাজমা বেগমকে টেনে হিচড়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। তাকে রক্ষা করতে স্বামী শাহ আলম ও তার ছেলে রাকিব (২০) এগিয়ে গেলে তাদের দু’জনকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।
স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। তাদের মধ্যে শাহ আলমের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়। সেখানে কিছুদিন চিকিৎসার পর আর্থিক সমস্যার কারণে এক সপ্তাহ আগে তাকে বাড়ি নিয়ে এসে পুনরায় বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
ওই ঘটনায় ২৩ মার্চ শাহ আলমের স্ত্রী নাজমা বেগম বাদি হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করে বাউফল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ২২। মামলায় এ পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাউফল থানার ওসি (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম।
বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আব্দুর রউফ জানান, মাথায় আঘাত পাওয়ায় রোগীর নিউমোনিয়া হয়েছিল। তার চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায়ই তার মৃত্যু হয়েছে।
নবাগত বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।