আবিদ হাসান, হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার বলড়া ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা শামিম আহমেদ কে সরকারি আদেশ অমান্য করে অতিরিক্ত অর্থ আদায় ও সেবা নিতে আসা ব্যাক্তিদের সাথে দুর্ব্যবহারের কারণে অপসারণ করা হয়েছে।
অতিরিক্ত অর্থ আদায় ও দুর্ব্যবহারের বিষয়ে দি বাংলাদেশ টুডে এবং দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদে সংবাদ প্রকাশ করলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বলড়া ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা শামীম আহমেদ-এর বিরুদ্ধে নানান মন্তব্যের ঝড় উঠে। এতদিন কেউ এ বিষয়ে কিছু বলার সাহস পায়নি বলে মন্তব্য প্রকাশ করেন অনেকেই। এছাড়া উপজেলার ১৩ ইউনিয়নেই একই অবস্থা বলে মন্তব্য করেছেন অনেকেই।
সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার হওয়ার পর থেকেই অকথ্য ভাষা গালমন্দ, চোর বাটপার, হনু, ফকির, ক্ষমতাধরসহ বিভিন্ন গালমন্দ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ইউপি উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে। উপজেলার রামকৃষ্ণপুর, চালা, বয়ড়া, হারুকান্দি, লেছড়াগঞ্জ, গোপিনাথপুর ইউনিয়নসহ সব ইউনিয়নেই একই অবস্থা বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকেই। নাগরিক এমন সেবায় হতাশা প্রকাশ করে অনেকেই বলেন, ইউনিয়নের এমন সেবা আমরা চাই না। সেবার নামে হয়রানি, জুলুম আর লুটপাট বন্ধ না হলে পাবলিক রাস্তায় নেমে একদিন জুতাপেটা আর ঝাড়ু মিছিল করতে বাধ্য হবে বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকেই।
উল্লেখ্য, সদ্য জন্ম নেওয়া থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত জন্মনিবন্ধন বিনামূল্যে ও শিশুর ৪৬ দিন বয়স থেকে ৫ বছর বয়স পর্যন্ত ২৫ টাকা এবং ৫ বছরের ওপরে সব বয়সীদের জন্য ৫০ টাকা সরকারি ফি নেওয়ার নিয়ম থাকলেও তার কোন তোয়াক্কা না করে বাড়তি টাকা আদায় যেন অলিখিত নিয়মে পরিণত হয়েছিল ৪নং বলড়া ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা শামিম বিশ্বাসের কাছে। এছাড়াও তাঁর দুর্ব্যবহারে অনেকেই অতিষ্ঠ বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
এ বিষয়ে হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনুর আক্তার জানান, তাকে অপসারণ করা হয়েছে। আর বাকিদের কঠিনভাবে সতর্ক করা হবে।