

মো. শফিকুর রহমান, রাঙামাটি প্রতিনিধি: রাঙামাটিতে পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ সুবলং ঝর্ণা। এ ঝর্ণার সৌন্দর্যের টানে একটু প্রশান্তির খোঁজে এখানে ছুটে আসেন প্রকৃতিপ্রেমীরা ও ভ্রমণপিপাসুরা।
রাঙামাটি সদর হতে ঝর্ণার দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার। যেতে সময় লাগে ঘন্টাখানেক। ভরা বর্ষা মৌসুমের সময় এই ঝর্ণার জলধারা প্রায় ৩০০ ফুট উচু থেকে নিচে পড়ে। সেখানে ছোট একটি সেতু রয়েছে। সেখানে দাঁড়িয়েও ঝর্ণার ও প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। এ ঝর্ণা পর্যটকদের কাছে বেশ পরিচিতি লাভ করেছে। বর্ষার সময় সুবলং ঝর্ণার সৌন্দর্য বেড়ে যায়। দূরদুরান্তের এবং স্থানীয় ভ্রমণপিপাসু ও প্রকৃতিপ্রেমীরা ছুটে আসেন এ ঝর্ণায়।
সুবলং যাওয়ার সময় রয়েছে হরেক রকম খাবারের রেস্তোরাঁ। সুভলং বাজারটা রয়েছে কাছেই। সময় থাকলে কাছের সেই বাজার থেকেও স্থানীয় বিভিন্ন ফল, সবজিও কিনে নিতে পারেন। নৌযান করে যাওয়ার সময় হ্রদ ও পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্যের আনন্দঘন মুহুর্ত উপভোগ করা যায়। এ ঝর্ণায় যেতে হয় নৌপথে। সদরের রিজার্ভ বাজার ঘাট, পর্যটন এলাকার ঘাট, তবলছড়ি ঘাটসহ আরো কয়েকটি স্থান হতে নৌযানে যাওয়া যায়।
এ বিষয়ে নুরুল ইসলাম নামের এক ভ্রমণপিপাসু জানান, পর্যটকদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে এ ঝর্ণা স্পট। এ ঝর্ণায় তাকালেই মন জুড়িয়ে যায়। যাওয়ার পথে লেকের জলরাশি, সবুজ পাহাড় ও প্রকৃতি মন কেড়ে নেয়। এখানে যাওয়া-আসার পথে জেলেদের মাছ ধরাও দেখে যাবে। অন্যদিনের থেকেও ছুটির দিনে এখানে পর্যটকদের আগমন বেড়ে যায়।
পর্যটকরা আরো জানায়, শুভলং ঝর্ণায় যাওয়ার পথে হ্রদ-পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য মুগ্ধতা ছড়ায়। এ ঝর্ণা, হ্রদ ও প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। বর্ষায় ঝর্ণার জলধারা আরো মনোরম হয়ে উঠে, যা পর্যটকদের মন কেড়ে নেয়।
এ ব্যাপারে এক টুরিস্ট বোট চালক জানান, রাঙামাটি শহর থেকে টুরিস্ট বোটে ও ইঞ্জিন চালিতবোটে যাওয়া যায় এ ঝর্ণায়। পর্যকটরা রাঙামাটিতে ভ্রমণে এসে এই ঝর্ণায় যাওয়ার সুযোগটা মিস করতে চায় না। শহর থেকে সময় লাগে প্রায় এক ঘন্টা। অন্যান্য দিনের চেয়ে ছুটির দিনে এখানে পর্যটক বেড়ে যায়।

