লা লিগার শিরোপা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে ৭ পয়েন্টের লিড নিশ্চিত করেছে হ্যান্সি ফ্লিকের বার্সেলোনা। রোমাঞ্চে ঠাসা ম্যাচটি হয়ে উঠেছিল ইতিহাসের অন্যতম নাটকীয় এল ক্লাসিকো। ম্যাচে গোল হয়েছে ৭টি, বাতিল হয়েছে আরও ৪টি। প্রথমার্ধেই দেখা গেছে পাঁচটি গোল—যা ১৯২১ সালের পর প্রথম।
এই জয়ের ফলে বার্সেলোনা বাকি তিন ম্যাচে মাত্র একটিতে জয় পেলেই শিরোপা নিশ্চিত করবে। অন্যদিকে, রিয়াল যদি তাদের পরের ম্যাচে পয়েন্ট হারায়, তবে আরও আগেই শিরোপা উৎসব করতে পারবে কাতালানরা।
ম্যাচের শুরুতেই রিয়ালের দাপট
ম্যাচের সূচনাটি ছিল একেবারেই রিয়াল মাদ্রিদের অনুকূলে। মাত্র ৫ মিনিটেই পেনাল্টি থেকে কিলিয়ান এমবাপে দলকে এগিয়ে দেন। এরপর ১৪ মিনিটে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের পাসে আবারও এমবাপে গোল করে লিড দ্বিগুণ করেন।
বার্সেলোনার দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন
১৮ মিনিটে কর্নার থেকে এরিক গার্সিয়ার গোলে ব্যবধান কমায় বার্সেলোনা। এরপর ৩২ মিনিটে ইয়ামালের বাঁকানো শটে সমতায় ফেরে কাতালানরা। ১৭ বছর বয়সী এই উইঙ্গারের গোলের পর গ্যালারির সামনে ‘কালমা’ সেলিব্রেশন ছিল চোখে পড়ার মতো।
বার্সার তৃতীয় গোল আসে রিয়ালের দুই খেলোয়াড়ের ভুল থেকে। এমবাপে ও দানি সেবায়োসের সংঘর্ষে বল পেয়ে পেদ্রি পাস দেন রাফিনিয়াকে, যিনি নির্ভুল ফিনিশে ৩-২ করেন স্কোরলাইন।
প্রথমার্ধেই গোলের বৃষ্টি
প্রথমার্ধে রিয়াল পায় আরেকটি পেনাল্টি, তবে অফসাইডের কারণে তা বাতিল হয়। এরপর রাফিনিয়া ফেরান তোরেসের নিঃস্বার্থ পাস থেকে নিজের দ্বিতীয় ও দলের চতুর্থ গোল করেন।
দ্বিতীয়ার্ধে চাপ বাড়ায় রিয়াল
৭০ মিনিটে লুকা মদ্রিচের চতুর পাস থেকে এমবাপে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করে রিয়ালকে ম্যাচে ফেরান। এরপর রাফিনিয়া সহজ এক সুযোগ মিস করলে রিয়াল সমতায় ফেরার আশায় উজ্জীবিত হয়।
৮৩ মিনিটে বার্সার পেনাল্টি দাবি হয়েছিল চুয়ামেনির হাতে বল লাগায়। ভিএআর যাচাইয়ের পর তা বাতিল হয়, কারণ বলটি তার শরীরের পিছনের অংশে লেগেছিল।
৮৮ মিনিটে রিয়ালের তরুণ ভিক্টর মুনোজের অভিষেক হয়, তবে প্রথম স্পর্শেই গোলের সুযোগ মিস করেন তিনি। যোগ করা সময়ে এমবাপে ও ফার্মিন লোপেজের দুটি গোলই বাতিল হয় অফসাইড ও হ্যান্ডবলের কারণে।
জয় নিশ্চিত বার্সার
সব নাটকীয়তা শেষে বার্সেলোনা জয় তুলে নেয় ৪-৩ ব্যবধানে। এখন শুধু একটি জয় তাদের শিরোপা নিশ্চিত করতে যথেষ্ট।