নাজমুল হোসেন শান্ত এখনও বাংলাদেশ দলের তিন সংস্করণের অধিনায়ক। তবে টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব অন্য কারও হাতে তুলে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। গতকাল মিরপুরে তৃতীয় বিভাগ কোয়ালিফাইং ক্রিকেট লিগের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা এটা (টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব) নিয়ে সিদ্ধান্ত নেব। খুব শিগগির জানা যাবে। এরই মধ্যে ২-১ জন টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়কত্ব করেছেন, যারা এখনও একদম দলের বাইরে নয়। এ রকম থেকে কাউকে (অধিনায়কত্বে) আমরা চেষ্টা করব।’ আপাতত আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ব্যস্ততা নেই জাতীয় দলের। মে মাসের শেষ দিকে পাকিস্তান সফরে তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলার কথা টাইগারদের। এই সময়ের মধ্যেই নতুন অধিনায়ক বেছে নিতে চায় বিসিবি।
জানা গেছে, বাংলাদেশের পরবর্তী টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হওয়ার রেসে লিটন দাস এগিয়ে আছেন। এ ছাড়া বিবেচনায় আছেন মেহেদী হাসান মিরাজও। তবে লিটনের পাল্লাই ভারী। শান্তর অনুপস্থিতিতে এ উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান গত ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তার অধিনায়কত্বে ক্যারিবীয়দের হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। লিটন বলেছিলেন, বোর্ড দায়িত্ব দিলে পূর্ণাঙ্গ মেয়াদে অধিনায়কত্ব করতে রাজি আছেন।
কদিন আগেই বাংলাদেশ দলের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি অভিযান শেষ হয়েছে। এবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আষাঢ়ে গল্প শুনিয়ে দেশ ছেড়েছিলেন অধিনায়ক শান্ত। তবে রীতিমতো হতাশ করেছেন টাইগাররা। গ্রুপপর্বে ভারত ও নিউজিল্যান্ডের কাছে হারের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে যায় তাদের। গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে বাংলাদেশ দলকে। বিসিবি সভাপতি জানান, তারা এখন থেকেই নতুন করে দল সাজানোর কাজ শুরু করবেন। ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমাদের চেষ্টা থাকবে। আমি আগামী বিশ্বকাপে (ভালো করার পরিকল্পনা) বিশ্বাস করি না। আমি যখন ২০০৭ সালে বিশ্বকাপে নির্বাচক ছিলাম, তামিম, সাকিব, মুশফিক ওরা লাইমলাইটে এসেছিল। বোর্ড থেকে একটা পলিসি দেওয়া হবে। আমরা বলে দেব কী চাই। ক্রিকেট অপারেশনসের সঙ্গে আলাপ করে চিন্তা করব আমাদের ক্রিকেটটাকে কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায়।’
সম্প্রতি ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ব্যর্থতায় ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে তিনি একদিনের ক্রিকেট ছাড়েন। ঢাকা ক্রিকেট লিগ নিয়ে ব্যস্ত থাকা মুশফিককে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বিসিবির। ফারুক আহমেদ বলেন, ‘এটি একটি স্বাভাবিক ঘটনা। দীর্ঘ ১৯ বছরের ক্যারিয়ারে তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেটের অন্যতম স্তম্ভ ছিলেন। ২০০৫ সালে ইংল্যান্ড সফর থেকে শুরু করে তিনি দেশের ক্রিকেটকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। বিসিবি তার অসামান্য অবদান কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছে এবং আমরা পরিকল্পনা করছি তাকে যথাযথভাবে সংবর্ধনা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রাখার।’ পাকিস্তানের বাংলাদেশ সফর নিয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘পাকিস্তান এরই মধ্যে আমাদের জানিয়েছে তারা এফটিপির বাইরে একটি সফর করবে এবং বাংলাদেশে খেলতে আসবে। এটি বেশ ব্যস্ত সূচির মধ্যেই আয়োজন করা হতে পারে, সম্ভবত জুলাই মাসে। আমরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছি, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলে সংবাদমাধ্যমকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।’