ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে একজন নারী নিহত ও প্রায় ৪০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত ইয়েচিয়েল লেইটার। এ ছাড়া সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আরো ১০ জন ইসরায়েলি আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত সিএনএন-এর কাইটলান কলিন্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লেইটার বলেন, ‘ইরান থেকে ইসরায়েলের দিকে তিন দফায় মোট প্রায় ১৫০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ইরানের কাছে প্রায় ২ হাজার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে এবং আমাদের ধারণা তারা হামলা চালিয়ে যেতে পারে।
’ তিনি ইরানকে ইচ্ছাকৃতভাবে ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করার অভিযোগও করেন। লেইটার বলেন, ‘ইসরায়েল যুদ্ধ করছে ইরানের জনগণের বিরুদ্ধে নয়… আমরা যুদ্ধ করছি এমন একটি শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে, যারা পারমাণবিক শক্তি অর্জনের জন্য বেপরোয়া।’ তিনি আরো জানান, ইসরায়েল এখনো সঠিকভাবে বলতে পারছে না যে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর তারা কতটা ক্ষতি করতে পেরেছে।
এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হলে আরো চার-পাঁচ দিন অপেক্ষা করতে হবে।
তখন আমাদের সামরিক বাহিনী তাদের আঘাতে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর কী ক্ষতি হয়েছে, তা মূল্যায়ন করতে পারবে বলে তিনি জানান।
তার মতে, ‘আমাদের বিশ্লেষণ বলছে, আমরা ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামো সম্পূর্ণভাবে অকার্যকর করে তোলার খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছি।’
গতকাল শুক্রবার ভোরে ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েলের অভূতপূর্ব হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যের শত্রুদের মধ্যে সংঘাত তীব্র আকার ধারণ করার সঙ্গে সঙ্গে তেহরান এবং তেল আবিবে বিস্ফোরণ ঘটেছে, যেখানে দেশটির বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা নিহত হয়েছেন।
ইরান ইসরায়েলি আক্রমণের ‘চূর্ণ প্রতিশোধ’ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, অন্যদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন ‘আরো কিছু ঘটবে’।
একজন জ্যেষ্ঠ ইরানি কর্মকর্তা সিএনএনকে বলেছেন, ইসরায়েলকে রক্ষা করার চেষ্টা করলে তেহরান যেকোনো দেশের আঞ্চলিক ঘাঁটি লক্ষ্য করবে। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিএনএনকে বলেছেন, ‘ওয়াশিংটন অবশ্যই ইসরায়েলকে তার কর্মকাণ্ডে সমর্থন করে। ট্রাম্প ইরানকে ‘কিছুই অবশিষ্ট না থাকার আগেই’ পারমাণবিক চুক্তিতে সম্মত হওয়ার জন্য সতর্ক করেছেন।’
সূত্র : সিএনএন