ঢাকা
১লা জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
রাত ৯:২৮
logo
প্রকাশিত : মে ৩১, ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা জটিলতা: বিদেশি শিক্ষার্থীদের বিকল্প কী?

ট্রাম্প প্রশাসন বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার অ্যাপয়েন্টমেন্ট সাময়িকভাবে বন্ধের পরিকল্পনা করায় উদ্বেগ এবং অনিশ্চয়তায় ভুগছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ছাত্র-ছাত্রীরা।

বিবিসির মার্কিন সহযোগী সংস্থা সিবিএস আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট সাময়িকভাবে স্থগিত করার পরিকল্পনার সম্পর্কে একটা সরকারি অর্ডার দেখেছে।

মার্কিন প্রশাসনের এই জাতীয় পরিকল্পনার কারণ হলো, তাদের পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থী ও ফরেন এক্সচেঞ্জ ভিসার আবেদনকারীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থাকা অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কড়া অবস্থান নিতে দেখা গিয়েছে। বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট স্থগিত করার পরিকল্পনা সেই পদক্ষেপেরই একটা অংশ বলে মনে করা হচ্ছে।

মি. ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়কে 'অত্যাধিক উদারপন্থি' বলে মনে করেন।

ক্যাম্পাসে ইহুদি-বিদ্বেষ মোকাবিলা করার জন্য যথেষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছে না–– এমন অভিযোগ তুলে তিনি সম্প্রতি হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক ছাত্র ভর্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন।

এরপর আদালতের দ্বারস্থ হয় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। আপাতত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওই নিষেধাজ্ঞায় স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।

কারা সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হবে?

বিদেশি শিক্ষার্থীদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহকারী সংস্থা 'ওপেন ডোরস' বলছে, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ২১০টিরও বেশি দেশের ১১ লাখেরও বেশি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী মার্কিন কলেজগুলোতে ভর্তি হয়েছিল।

ওপেন ডোরস-এর তথ্য অনুযায়ী, গত বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী যান ভারত থেকে।

তাদের তথ্য বলছে, তিন লাখ ৩৩ হাজারের-এরও বেশি ভারতীয় শিক্ষার্থী গত বছর বিভিন্ন মার্কিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছেন।

এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চীন। যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের পরেই চীন থেকে সবচেয়ে বেশি ছাত্র-ছাত্রী পড়তে আসেন। গত বছর প্রায় দুই লাখ ৮০ হাজার পড়ুয়া যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তি হয়েছেন।

এর পরেই রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, কানাডা, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, নাইজেরিয়া, বাংলাদেশ, ব্রাজিল এবং নেপাল।

এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও চলতি সপ্তাহের বুধবার ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প প্রশাসন "কমিউনিস্ট পার্টির সাথে সম্পর্কিত অথবা জটিল বিষয়ে লেখাপড়া করছে এমন চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা আগ্রাসীভাবে বাতিল করবে"।

এই পরিকল্পনারই অংশ হিসেবে, ভবিষ্যতে চীন ও হংকং যারা মার্কিন ভিসার জন্য আবেদন করবেন তাদের "কড়া পরীক্ষা-নিরীক্ষা" জন্য মানদণ্ডেরও সংশোধন করা হবে।

তবে এর ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করছেন এমন কতজন চীনা শিক্ষার্থী প্রভাবিত হতে পারেন তা স্পষ্ট নয়।

চীন জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসনের এই জাতীয় পদক্ষেপের তারা "দৃঢ় বিরোধিতা" করছে। পাশাপাশি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আরও গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য আহ্বান জানিয়েছে সে দেশ।

ট্রাম্প প্রশাসন ইতিমধ্যেই বেশ কিছু বিদেশি ছাত্রকে 'ডিপোর্ট' করার পদক্ষেপ নিয়েছে। হাজার হাজার শিক্ষার্থীর ভিসাও বাতিল করেছে।

মার্চের শেষে, মার্কো রুবিও জানিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীদের দমন করার উদ্দেশ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র কমপক্ষে ৩০০জন বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করেছে। তবে তারা কোন কোন দেশের, তা বলেননি।

এদিকে বুধবার, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় আদালতে দায়ের করা একটা মামলায় জানিয়েছে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের পঠন-পাঠনের জন্য ওই প্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেশন বাতিল করলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অপূরণীয় ক্ষতি হতে পারে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আদালতে যে আবেদনের জমা দেওয়া হয়েছে, সেখানে হার্ভার্ডের আন্তর্জাতিক অফিসের পরিচালক মৌরিন মার্টিন জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে নেওয়া এই পদক্ষেপ শিক্ষার্থী এবং স্কলারদের 'মানসিক যন্ত্রণা' দিয়েছে।

তিনি উল্লেখ করেছেন, শিক্ষার্থীরা 'গ্র্যাজুয়েশন সেরেমোনি' (স্নাতক হওয়ার পর সার্টিফিকিট দেওয়ার জন্য যে অনুষ্ঠান) এড়িয়ে যাচ্ছে, আন্তর্জাতিক ভ্রমণ বাতিল করছে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে অন্য কলেজে স্থানান্তর হওয়ার চেষ্টাও করছে।

আদালতের দায়ের করা আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, কিছু কিছু শিক্ষার্থী এই আশঙ্কায় ভুগছেন যে দেশে ফিরতে হলে তারা সেখানে সক্রিয় সংঘাত বা রাজনৈতিক নিপীড়নের মুখোমুখি হতে পারেন।

"যুক্তরাষ্ট্রের ওপর এর প্রভাব মারাত্মক হবে," এমনটাই বলেছেন অধ্যাপক এমেরিটাস উইলিয়াম ব্রুস্টেইন। তিনি পশ্চিম ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত উচ্চ আন্তর্জাতিক শিক্ষা ক্ষেত্রের একজন বৈশ্বিক কৌশলবিদ।

তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, "হার্ভার্ড হয়ত (বিষয়টা সামাল দিতে) পারবে, মানে বিষয়টা কঠিন সেটা বটে, কিন্তু পেরে যাবে। কিন্তু আমার উদ্বেগের বিষয় হলো আমাদের পাবলিক ইউনিভার্সিটিগুলোকে নিয়ে। তারা শিক্ষার্থীদের ফি থেকে আসা আয়ের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ওপর বেশি মাত্রায় নির্ভরশীল।"

"শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে থাকা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিষয়ে তাদের যে বৈচিত্র্যময় দৃষ্টিভঙ্গি যোগ করেন- সেখানেই মূলত এর (ট্রাম্প প্রশাসনের পদক্ষেপের) প্রভাব পড়বে।"

কী বিকল্প রয়েছে?

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কানাডা, যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়াও বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে। কিন্তু অভিবাসন আইনে নাটকীয় পরিবর্তনের ফলে ইদানীং সেই সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কমাতে বদ্ধপরিকর কানাডা। উদাহরণস্বরূপ, অন্য দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য 'প্রুফ অফ ফান্ড' (ব্যয়ভার চালানোর জন্য যথেষ্ট অর্থ রয়েছে কি না) -এর পরিমাণ বাড়িয়েছে। অভিবাসনের ওপর রাশ টানার জন্য কানাডায় যে চেষ্টা চলছে, এটা কিন্তু তারই একটা অংশ।

যুক্তরাজ্য যেখানে অক্সফোর্ড এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন নামীদামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, তারাও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ কমিয়ে আনছে।

শিক্ষার্থী ভিসায় বিধিনিষেধ চালু হয় ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে। এর ফলে স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীরা তাদের ওপর নির্ভরশীল পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাজ্যে আনার অধিকার হারিয়ে ফেলেন। অন্যদিকে, নতুন শিক্ষার্থীদের তাদের কোর্স শেষ হওয়ার আগে ওয়ার্ক ভিসায় স্যুইচ করা থেকে বিরত করা হয়।

বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের আকর্ষণকারী দেশের মধ্যে অন্যতম অস্ট্রেলিয়াও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের আবেদনের ওপর লাগাম টেনেছে। সে দেশে কোভিডের আগে সামগ্রিক অভিবাসনের যে স্তর ছিল সেই মাত্রায় আবার ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।

অধ্যাপক ব্রুস্টেইন বলেন, "এর ফলে শিক্ষার্থীদের নিজেদের দেশেই থেকে যেতে হতে পারে কারণ আরও বেশি সংখ্যক দেশ তাদের নিজস্ব শিক্ষা ব্যবস্থায় বিনিয়োগ করছে। আবার তাদের হয়তো তা না-ও করতে হতে পারে।"

কোন কোন দেশ সুযোগ দিচ্ছে?

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক পদক্ষেপকে অনেক দেশই একটা সুযোগ হিসেবে দেখছে। এর কারণ তহবিলের একটা উল্লেখযোগ্য অংশের জন্য তারা বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর নির্ভর করে। বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রায়শই বিপুল পরিমাণে টিউশন ফি দিতে হয়।

জন লি হংকংয়ের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি বলেছেন, যেসব শিক্ষার্থী "মার্কিন নীতির কারণে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন, পড়াশোনা করতে অসুবিধা হচ্ছে, অথবা মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন" তাদের "স্বাগত" জানাবে হংকং।

জন লিয়ের কথায়, "যারা হংকংয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চান তাদের জন্য সরকার এবং স্থানীয় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সব রকমভাবে সাহায্য ও ব্যবস্থা করবে।"

মালয়েশিয়ার সানওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়সহ এশিয়ার অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের তাদের দেশে পড়াশোনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

সানওয়া বিশ্ববিদ্যালয় গোষ্ঠীর সিইও সামাজিক মাধ্যম 'লিংকডইন'-এ লিখেছেন, "আমাদের অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির (এএসইউ) সঙ্গে পার্টনারশিপ রয়েছে। আমরা হার্ভার্ড থেকে প্রাপ্ত আপনাদের সমস্ত ক্রেডিট এএসইউ-তে স্থানান্তরিত করতে পারি।"

"আমাদের নিজস্ব সান-ইউ ডিগ্রি প্রোগ্রামগুলোতেও স্থানান্তর করার জন্য ব্যবস্থা করতে পারি যা (এই ডিগ্রি) আপনাদের ল্যাংকাস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অতিরিক্ত ব্রিটিশ সার্টিফিকেশনও এনে দেবে।"

আমেরিকার বাইরে যারা বিকল্প খুঁজছেন এমন ছাত্র ছাত্রীদের কাছে জার্মানিও ক্রমে একটা জনপ্রিয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে।

জার্মান একাডেমিক এক্সচেঞ্জ সার্ভিস-এর পূর্বাভাস অনুসারে, ২০২৫ সালে সে দেশে চার লক্ষেরও বেশি আন্তর্জাতিক স্কলার থাকবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

গত বছরের মার্চ মাসে, জার্মানি ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে থাকা শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করার অনুমতি দেওয়ার জন্য নতুন ব্যবস্থাও চালু করেছে। এর আগে ওই কাজের সীমা ছিল সপ্তাহে দশ ঘণ্টা।

যদিও বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য 'প্রুফ অফ ফান্ড'-এর পরিমাণও বাড়িয়েছে। তবে তা বৃদ্ধি কানাডা বা অস্ট্রেলিয়ার মতো অতটা নাটকীয় নয়।

অধ্যাপক ব্রুস্টেইন বলেন, "গত ১৫ বছরে উচ্চশিক্ষার বৈশ্বিক বাজারে মৌলিক পরিবর্তন এসেছে। তাই তাই কিন্তু এখন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাছে অনেক বিকল্প রয়েছে।"

"মালয়েশিয়ায় অনেকই বিশ্ববিদ্যালয় শীর্ষস্থানীয়। আমার মনে হয় অস্ট্রেলিয়ার কথা এখনো ভাবা যেতে পারে।"

"ফ্রান্সে এমন এমন শীর্ষ অধ্যাপকদের আকর্ষণ করার জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হচ্ছে, যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে যাওয়ার কথা ভাবছেন। তাই আমার মনে হয় ইউরোপের কথাও বিবেচনা করা যেতে পারে।"

"তবে আমি পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কী ঘটছে তার ওপর জোর দেই, কারণ এটাই বিশ্বের সবচেয়ে গতিশীল ক্ষেত্র," বলেছেন অধ্যাপক ব্রুস্টাইন।

অন্য দেশের শাখা-ক্যাম্পাস

এই প্রসঙ্গে অধ্যাপক ব্রুস্টাইন একটা উল্লেখযোগ্য বিষয়ের কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের 'শাখা-ক্যাম্পাস'-এর ধারণা এখন আরও বেশি পরিমাণে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

"আমি জানি ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় এমনটা (শাখা ক্যাম্পাস) রয়েছে এবং তার একটা দীর্ঘ ইতিহাসও রয়েছে। মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও এর চল আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যা ঘটছে তা সত্ত্বেও, ভারত ও চীনে ইলিনয় ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি কাজ করছে।"

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে, আর্জেন্টিনা, ইংল্যান্ড, কোরিয়া, সেনেগাল এবং ব্রাজিলসহ ৫০টারও বেশি দেশের তালিকা রয়েছে যেখানে তাদের অনুমোদিত প্রোগ্রামে পঠনপাঠনের সুযোগ রয়েছে।

তবে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকলে, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই তালিকার মধ্যে একটাতে স্থানান্তর করতে পারবে কি না সেই বিষয়ে এখনো কিছু ঘোষণা করা হয়নি।

logo
প্রকাশকঃ অধ্যাপক ড. জোবায়ের আলম
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ তাপস রায় সরকার
মোবাইল: +৮৮০ ১৭৩৬ ৭৮৬৯১৫
কার্যালয় : বিটিটিসি বিল্ডিং (লেভেল:০৩), ২৭০/বি, তেজগাঁও (আই/এ), ঢাকা-১২০৮
মোবাইল: +880 2-8878026, +880 1736 786915, +880 1300 126 624
ইমেইল: tbtbangla@gmail.com (online), ads@thebangladeshtoday.com (adv) newsbangla@thebangladeshtoday.com (Print)
বাংলাদেশ টুডে কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বে-আইনী।
Copyright © 2025 The Bangladesh Today. All Rights Reserved.
Host by
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram