আমার জীবনের সাথে মিশে আছে সঙ্গীত, যতদিন বেঁচে আছি বাংলা গানকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চাই, কারণ সঙ্গীত আমার আত্মার খোরাক। কথাগুলো সময়ের জনপ্রিয় বাউল শিল্পী মোস্তফা কামাল বয়াতির, যিনি ইতিমধ্যে গান গেয়ে জয় করেছেন দেশ ও বাহিরের লক্ষ লক্ষ মানুষের হৃদয়।
পরিবারের সবাই মোস্তফা নামে ডাকলেও শিল্পী হিসেবে তিনি পরিচিতি পেয়েছেন মোস্তফা কামাল বয়াতি নামে। তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা নরসিংদী জেলা সদরের পাঁচদোনা ইউনিয়নের মূলপাড়া নামক গ্রামে, ছোট বেলা থেকে তার ছিল সঙ্গীতের প্রতি বেশ ঝোঁক। তাইতো মাত্র ১২বছর বয়সেই গানের সাথে তার সখ্যতা শুরু হয়।
মোস্তফা কামাল বয়াতির গানের প্রথম হাতে খড়ি হয় ১৯৮৪ সালে বাউল সম্রাট শফি মন্ডলের হাত ধরে। এছাড়া স্থানীয় একাডেমিতে ও নিয়মিত গান শিখতেন তিনি। মন তুই কেনো অস্থির শিরোনামের এলবামের মাধ্যমে সঙ্গীতাঙ্গনে যাত্রা শুরু করেন এই কণ্ঠশিল্পী, পরবর্তী তার কন্ঠে কিসের সন্ধানে ফিরো ও মন আমার অচিন পাখি সহ বেশ কয়েকটি মৌলিক গান প্রকাশিত হয়।
মোস্তফা কামাল গেয়েছেন দেশশেরা গীতিকার সুরকারদের লেখা ও সুরে গান করেছেন, তার মধ্যে কফিল উদ্দিন সরকার, সাজ্জাদ নুর, কালামিয়া, শাহ আব্দুল করিম, আবু জাফর, সুকুমার রায় সহ আরো অনেক দেশবরণ্য বিভিন্ন গীতিকার সুরকারের সাথে কাজ করেছেন তিনি।
এপর্যন্ত প্রায় ১৫০টির অধিক মৌলিক গান প্রকাশিত হয়েছে, তারমধ্যে বেশ কয়েকটি গান পেয়েছে বেশ শ্রোতাপ্রিয়তা। এছাড়া অপ্রকাশিত গানের তালিকায় রয়েছে ২০ থেকে ২৫টির মতো মৌলিক গান।
তার কন্ঠের জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে, বন্ধু আমারে গিয়াছে ভুলিয়া রে, তাজা ফুলের গাঁথা মালা, আমি সাজিবো কার লাগি, গিরিধারী নাগর, দুঃখ দিয়া সুখ যদি পাও, আমার আপন ভবে কেউ নাই, আমার পাল ছাড়ানো নৌকা, দুঃখিনী মাগো, পলকে পলকে, কোন আলো লাগলো চোখে, গোধূলি লগনে শিরোনামের গানগুলো অন্যতম।
জানতে চাইলে মোস্তফা কামাল বয়াতি বলেন, গান জীবনের কথা বলে, মানবতার কথা বলে, স্রষ্টার কথা বলে। এছাড়া গান আমার জীবন মরণের সাধনা, আমৃত্যু সঙ্গীতের সাথেই আছি থাকবো। সবার ভালোবাসা ও দোয়া নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।