গাজীপুর প্রতিনিধি: ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এর ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবদীন বলেছেন, ‘‘প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর উন্নয়ন ও সুশৃঙ্খল প্রশাসন নিশ্চিত করতে দক্ষ জনবল এবং আধুনিক দাপ্তরিক ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং গতিশীলতা নিশ্চিত করতে প্রযুক্তিনির্ভর অফিস ব্যবস্থাপনা ও মানবসম্পদ পরিচালনার আধুনিক কৌশল গ্রহণ এখন সময়ের দাবি।
তিনি আরও বলেন, ‘‘সুষ্ঠু অফিস ব্যবস্থাপনা, নথিপত্র সংরক্ষণ ও তথ্য প্রক্রিয়াজাতকরণে সক্ষমতা বাড়াতে এ ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অত্যন্ত সময়োপযোগী উদ্যোগ। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিগত কাঠামো যত শক্তিশালীই হোক, তার সফল বাস্তবায়ন নির্ভর করে দক্ষ ও সময়ানুগ প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার ওপর। তথ্য প্রবাহের স্বচ্ছতা, দাপ্তরিক শৃঙ্খলা এবং আন্তঃবিভাগীয় সমন্বয়ের মাধ্যমে আমরা সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ডুয়েটকে সর্বক্ষেত্রে একটি উজ্জ্বল অবস্থানে নিয়ে যেতে পারবো।
তিনি মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন একাডেমিক ভবনের ৩১১ নম্বর সেমিনার কক্ষে 'অফিস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ডকুমেন্টেশন' শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। কর্মশালার আয়োজন করে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি)।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডুয়েটের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মোঃ আরেফিন কাওসার। সভাপতিত্ব করেন আইকিউএসি পরিচালক অধ্যাপক ড. মা. ওবায়দুর রহমান। মূল প্রশিক্ষক হিসেবে অধিবেশন পরিচালনা করেন ডুয়েটের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কম্পট্রোলার অধ্যাপক ড. মোঃ রেজাউল করিম। সঞ্চালনায় ছিলেন আইকিউএসি-এর অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম।
প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মোঃ আরেফিন কাওসার তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘মানসম্পন্ন সেবা প্রদানে দক্ষ প্রশাসনিক কর্মী একটি প্রতিষ্ঠানের মূল চালিকাশক্তি। আমরা ডুয়েটকে একটি শক্তিশালী ও টেকসই প্রশাসনিক কাঠামোতে রূপ দিতে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এই কর্মশালা বিশ্ববিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কর্মদক্ষতা ও তথ্য সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
কর্মশালায় প্রশিক্ষক অধ্যাপক ড. মোঃ রেজাউল করিম অফিস ব্যবস্থাপনার আধুনিক পদ্ধতি, সরকারি নীতিমালা, নথি সংরক্ষণ কৌশল, ডিজিটাল ফাইল মেইনটেন্যান্স, রেকর্ডকিপিং, অফিসিয়াল যোগাযোগ ইত্যাদি বিষয়ে বিশদ আলোচনা করেন। তিনি অংশগ্রহণকারীদের বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে উদাহরণসহ কৌশলগত নির্দেশনা প্রদান করেন।
কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ, বিভাগ, ইনস্টিটিউট, প্রশাসনিক অফিস, শাখা এবং হলের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।