

মো. জুয়েল রানা, তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধি: কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে শাশুড়িকে পানিতে চুবিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মেয়ের জামাইয়ের বিরুদ্ধে। নিহতের নাম সফুরা বেগম (৮০)। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার শিবপুর গ্রামের দিলু সিকদারের বাড়িতে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত সফুরা বেগমের ভাইয়ের ছেলে জামাল মিয়ার সঙ্গে তার মেয়ে রহিমা আক্তারের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। শুক্রবার সকালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহের একপর্যায়ে জামাল তার স্ত্রী রহিমা আক্তার ও মেয়ে মারিয়াকে মারধর করে গুরুতর আহত করে।
পরবর্তীতে স্থানীয়রা আহত রহিমা ও তার মেয়েকে উদ্ধার করে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এ সুযোগে জামাল ক্ষোভের বশে বৃদ্ধা শাশুড়ি সফুরা বেগমকে প্রথমে মারধর করে, পরে কোলে করে বাড়ির পাশে ডোবায় নিয়ে চুবিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।
শিবপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা নূর মোহাম্মদ মাস্টার জানান, “নিহত সফুরা বেগম স্বামীনাশা হয়ে দীর্ঘদিন মেয়ের সঙ্গে ভাইয়ের বাড়িতেই থাকতেন। শুক্রবার সকালে জামাল ও রহিমার মধ্যে পারিবারিক বিষয়ে ঝগড়া বাধে। একপর্যায়ে জামাল স্ত্রী ও মেয়েকে পিটিয়ে আহত করে। তারা হাসপাতালে নেওয়ার পরই জামাল বৃদ্ধা শাশুড়িকে পানিতে চুবিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।” ঘটনার খবর পেয়ে তিতাস থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।
তিতাস থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মাহমুদুল হাসান বলেন, “আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছি যে, জামাল মিয়া তার শাশুড়ি সফুরা বেগমকে পানিতে চুবিয়ে হত্যা করেছে। পারিবারিক কলহই এ হত্যার মূল কারণ বলে ধারণা করা হচ্ছে। অভিযুক্ত জামালকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।”
নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

