জসিম সিদ্দিকী, কক্সবাজার: কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৫ থেকে র্যাব পরিচয়ে একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী মো. হাফিজ উল্লাহকে অপহরণ করে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল। ১৫ জুন রাতে এ ঘটনা ঘটে।
অপহরণের খবর পেয়ে র্যাব-১৫ অভিযান চালিয়ে ১৩ জুন রঙ্গিখালীর ডাকাত শাহআলমের বাড়ি থেকে আফ্রিদি ও আব্দুল গফুরকে এবং ১৪ জুন মরিচ্যা বাজার থেকে মূল অপহরণকারী, বরখাস্ত সৈনিক মো. সুমন মুন্সিকে গ্রেফতার করে।
পরে ১৫ জুন র্যাব, বিজিবি, পুলিশ, এপিবিএন ও বনবিভাগের যৌথ অভিযানে গহীন অরণ্য থেকে অপহরণের ৭২ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার করা হয় হাফিজ উল্লাহকে। উদ্ধার করা হয় র্যাবের পোশাক, ওয়াকিটকি, দেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি।
পরবর্তীতে ২৭ জুন কুখ্যাত ডাকাত শিকদার এবং ২৯ জুন উখিয়ার মরিচ্যা থেকে সন্ত্রাসী জায়েদ হোসেন ফারুককে (২২) গ্রেফতার করা হয়। ফারুকের কাছ থেকে ৪টি র্যাবের পোশাক, ভুয়া র্যাব আইডি, হ্যান্ডকাপ, বিদেশি পিস্তল, ২টি দেশি অস্ত্র, ১০ রাউন্ড গুলি, ১১টি খালি কার্টিজ ও একটি চাকু উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, বরখাস্ত সৈনিক সুমন রাজধানীর মিরপুর শাহ আলী মার্কেট থেকে র্যাবের পোশাক তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে র্যাববের পরিচয়ে অপহরণ চালাতেন। প্রতিটি পোশাক তৈরিতে খরচ হতো ২৫০-৫০০ টাকা।
আজ সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে র্যাব-১৫ এর এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অধিকাংশ সন্ত্রাসী গ্রেফতার হলেও রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নবী হোসেন ও ডাকাত শাহ আলমসহ কয়েকজন এখনো পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।