চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের চিলমারীর দুর্গম চরাঞ্চলের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানসমূহে অপরাধ দমনে আকাশে ড্রোন উড়িয়ে তদারকি বাড়ানো হয়েছে। সেই সাথে সপ্তাহে দুদিন (রোববার ও বুধবার) নৌপথকে বিশেষ নজরদারির আওতায় এনেছে প্রশাসন। পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ রুটে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), নৌপুলিশ ও থানা পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, বিভিন্ন সময়ে চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর রুটে নৌ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এর প্রেক্ষিতে ওই দুই রুটে সপ্তাহে দুদিন (হাটবার-রবি ও বুধ)সহ অন্যান্য দিনেও পুলিশ বিশেষ নজরদারি করছেন। পুলিশি তদারকির পাশাপাশি ড্রোন উড়িয়ে উপজেলার চরাঞ্চলীয় গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলোতে বিশেষভাবে নজরদারি করা হচ্ছে এবং এটি চলমান থাকবে৷
উপজেলার জোড়গাছ বাজারে সপ্তাহে রবিবার ও বুধবার অনেক বড় হাট বসে৷এদিন চিলমারীর চর এলাকাগুলো ছাড়াও পাশ্ববর্তী উপজেলা থেকে নৌরুটে বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা আসেন হাট করতে। পর পর কয়েকটি নৌ ডাকাতির ঘটনার পর জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ সতর্ক অবস্থানে থাকায় ডাকাতির প্রবণতা অনেকাংশে কমে গেছে বলে জানা যায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট জোড়গাছ হাট, রমনা ঘাট,কাঁচকোল, ফকিরের হাট, বিভিন্ন ইউনিয়নের চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে ড্রোন উড়িয়ে বিশেষ নজরদারি রাখা হচ্ছে।
চিলমারী ইউনিয়নের মাইদুল ইসলাম জানান, এখন ডাকাতি কমে গেছে, নাই বললেই চলে। আর ড্রোন আকাশে উড়ার ফলে ঝোপঝাড়ে যদি কোনো ডাকাত দল বা মাদককারবারী থাকে তাহলে সেসব খুব সহজেই ধরা যাবে। ড্রোন ক্যামেরা বিশেষ ব্যবস্থা করায় পুলিশকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
মাহফুজার নামে চরাঞ্চলের এক ব্যবসায়ী বলেন, এখন হাটের দিন হাট করতে আসতে ভয় করে না। ব্রহ্মপুত্র নদের বিভিন্ন স্থানে নৌকায় পুলিশ সদস্যদের অবস্থান নিতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান জানান, চিলমারী নদীবন্দর ও নৌরুটে অপরাধ প্রতিরোধের জন্য সার্বক্ষণিক ড্রোন মনিটরিং চলছে। অতিরিক্ত পুলিশি তৎপরতায় নৌ ডাকাতি দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে।