শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি: গাজীপুরের শ্রীপুরে সাতখামাইর-বরমী আঞ্চলিক সড়কে ডাকাতির সময় এক ডাকাত ও সিএনজি চালকসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় আটক হয়েছেন আরও ৪ ডাকাত সদস্য। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টায় সাতখামাইর মাজার সংলগ্ন সড়কে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজনের একজন মো. আরিফ হোসেন (২২)। তিনি কুমিল্লা জেলার হাবিবুর রহমানের ছেলে। আরিফ হোসেন ডাকাত দলের সদস্য ছিলেন। অপরদিকে এই ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার সময় মৃত্যু হয়েছে আবুল কালাম (৪০) নামের এক সিএনজি চালকের। তিনি শ্রীপুরের টেপিরবাড়ি গ্রামের মো. গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। ঘটনার সময় তিনি ওই সড়ক হয়ে মাওনা চৌরাস্তার দিকে যাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।
ঘটনায় ভুক্তভোগী মো. শফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি বলেন, তিনি শ্রীপুরের এমসি বাজার থেকে একটি পিকআপ নিয়ে বরমী যাচ্ছিলেন। পথে সাতখামাইর বাজারের অদূরে মাজার এলাকায় পৌঁছালে ৬-৭ জনের ডাকাত দল তাদের গাড়ির গতিরোধ করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা পয়সা নিয়ে যায় তারা। একই সময় ওই সড়কে অন্যান্য গাড়ি থেকেও ডাকাতি করছিল ডাকাত সদস্যরা। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী সবাই মিলে চিৎকার শুরু করে। একপর্যায়ে তারা এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ করতে শুরু করে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এরপর সম্মিলিতভাবে ডাকাত দলের ৪ সদস্যকে আটক করে ফেলেন তারা। এ সময় গাড়ির আঘাতে এক ডাকাত সদস্য গুরুতর আহত হন। অপরদিকে সিএনজি চালক গুরুতর আহত হয়েছেন। পরে তাদেরকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, একজনকে হাসপাতালে আনা হয়। পরে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। অপর আহত ব্যক্তিকে উন্নতি চিকিৎসার জন্য পাঠালে পথে তার মৃত্যু হয়েছে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, চার ডাকাত সদস্যকে পুলিশ আটক করেছে। গাড়ির ধাক্কা খেয়ে এক ডাকাত সদস্য ছিটকে পড়ে গেলে গাড়িতে থাকা যাত্রী এবং স্থানীয়রা গণপিটুনিতে এক ডাকাত সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।