মো: আনোয়ার হোসেন, নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বর্তমান মৌসুমে (জ্যৈষ্ঠের মাঝামাঝি থেকে আষাঢ়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত) নদী, খাল-বিলে পানি ভরপুর। এ সময় নদী, খাল-বিলে মাছও বেশ ভালো পাওয়া যায়। এখন খরাজাল দিয়ে মাছ শিকার করেন অনেকেই। আর এই খরাজাল দিয়ে তিতাস, বুড়ি নদী ও যমুনা খালসহ এর শাখা বিভিন্ন খালে মাছ ধরে সংসার চালাচ্ছেন নবীনগরের শতাধিক পরিবার।
উপজেলার শ্যামগ্রাম, মাঝিয়ারা, বাঙ্গরা, জিনদপুর, গোসাইপুর, কনিকাড়া, কাজিমাবাদ, কড়ইবাড়ি, টানচারা, রাধানগর, ভৈরবনগর, লাপাং, সাদেকপুর, মনতলা, হাজিপুর, উত্তরদাররা, মোল্লা, বিশারা, দামলা, গুলপুকুরিয়া, ফতেপুর, সীতারামপুর, ইব্রাহিমপুর, কালীপুরা, শ্রীরামপুর, জগন্নাথপুর, সাতমোড়া এবং রছল্লবাদ প্রভৃতি স্থানে খরাজাল দিয়ে মানুষ প্রতিদিন মাছ শিকার করছে। বাঁশ ও জালের সম্বন্ধে তৈরী এসব খরাজালের মাধ্যমে মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করেন তারা। উল্লেখিত এলাকার কামাল, মুন্তাজ, রাজ্জাক আলী, লতিফ, আয়নাল, শুকচাঁন, জহির, সোনা মিয়া, মহিবুল ইসলাম, শফিক, রকিকুল, ওমরসহ বেশ কয়েক জনকে দেখা যায় মাছ ধরতে। মাছ বিক্রি করেই সংসার চালান তারা।
মহিবুল ইসলাম জানান, একটা খরাজাল তৈরী করতে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়। যত্ন নিয়ে ব্যবহার করলে এ খরাজাল ৩-৫ বছর পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়। তিনি জানান, এখন ভালো মাছ পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিদিন এক হাজার থেকে পনের শত টাকার মাছ বিক্রি করা যায়। অন্য সময় কম হয়, তখন ৩০০-৪০০ টাকার মাছ পাওয়াও দুষ্কর। সকাল ৬টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ৬-৭ কেজি ছোট মাছ পেয়েছেন বলে জানান মহিবুল ইসলাম। এর মধ্য মলা, পুঁটি, সরপুঁটি, টেংরা, গইন্না, ফলি ও টাকি মাছ রয়েছে। স্থানীয় বাজারে তিনি ৩৫০-৪০০ টাকা কেজি হিসাবে বিক্রি করেন। দিনের চেয়ে রাতে মাছ বেশী ধরা পড়ে।
সোনা মিয়া জানান, খরাজালে এখন লাভ ভালই হয়। তবে বাঁশ ও জালের দাম বেশী হয়ে গেছে, তাই জাল তৈরি করার খরচ একটু বেশি। তিনি বলেন, বাজারে ছোট মাছের চাহিদা বেশ ভালো। কালিপুরার মো. এলাহি বলেন, সাড়া বছরই জেলেরা নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন, তবে বর্তমান মৌসুমে মাছ বেশী ধরা পারে। তাই তাদের লাভও বেশী হয়।