মোঃ এনামুল হক, পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ে সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে ৮০ হাজার জাল মার্কিন ডলারসহ জাল ডলার কেনাবেচা চক্রের ছয় সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পরিচালিত এই অভিযানে তাদেরকে জাল ডলারসহ আটক করা হয়। অভিযানের পর বিকেলে তাদের পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় জব্দ করা হয় একটি মোটরসাইকেল, কয়েকটি মোবাইল ফোন ও মাদকদ্রব্য সেবনের আলামত।
সেনাবাহিনী সূত্রে জানা যায়, অভিযানে জব্দকৃত জাল ডলারের মোট মূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯৭ লাখ ৭৯ হাজার ২৮০ টাকা।
আটককৃতরা হলেন- পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার চেংঠি হাজরাডাঙ্গা ইউনিয়নের বাগদহ দিলালপাড়া গ্রামের হামিদুল ইসলামের ছেলে আনোয়ার হোসেন ডিপজল (৪২), একই গ্রামের মইনুল ইসলামের ছেলে ইয়াসিন আলি (৩২), দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার শতগ্রামের মৃত মফিজুল ইসলামের ছেলে সোহেল ইসলাম (৩৪), একই গ্রামের মৃত প্রভাতের ছেলে রমেশচন্দ্র বর্মন (৩৫), বীরগঞ্জ উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের মৃত হামিদুল হকের ছেলে ও সাবেক মেম্বার মোজাম্মেল হক (৫৫) এবং পঞ্চগড় পৌরসভার ইসলামবাগ গ্রামের সুলতা আলীর ছেলে হোসেন আলী বাবু (৩৬)।
সেনাবাহিনীর ভাষ্যমতে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পঞ্চগড় শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে একটি মাইক্রোবাস থামিয়ে আনোয়ার, ইয়াসিন ও সোহেলকে আটক করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পরে শহরের সিনেমাহল রোড এলাকা থেকে রমেশচন্দ্র, মোজাম্মেল ও বাবুকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে জাল ডলার ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। পরে দেবীগঞ্জে আনোয়ার ও ইয়াসিনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য সেবনের আলামত জব্দ করা হয়।
সেনাবাহিনী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই ডলারগুলো তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের পরিকল্পনা ছিল।
এ বিষয়ে পঞ্চগড় আর্মি ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর মেহেদী পিয়াস জয় বলেন, “আটককৃত চক্র দীর্ঘদিন ধরে পঞ্চগড়ে জাল টাকা ও ডলার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তারা শুধু দেশে নয়, দেশের বাইরেও অবৈধভাবে এসব জাল মুদ্রা সরবরাহ করতো। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ৮০ হাজার জাল ইউএস ডলারসহ ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।” একই সঙ্গে তিনি অপরাধ দমনে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লা হিল জামান জানান, সেনাবাহিনী জাল ডলারসহ ৬ আসামিকে থানায় হস্তান্তর করেছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে কারাগারে পাঠানো হবে।