কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজারের চকরিয়ায় নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের মাধ্যমে যেন ঘুম ভাঙলো কক্সবাজার জেলা পুলিশের। এ ঘটনার পর জেলাজুড়ে শুরু হয়েছে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’। বুধবার (১৮ জুন) বিকেল থেকে বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুর পর্যন্ত চালানো অভিযানে বিভিন্ন উপজেলা থেকে ৫৭ জন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কক্সবাজার পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) জসীম উদ্দিন চৌধুরী জানান, নাশকতা, উস্কানি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির অভিযোগে এ অভিযান চালানো হচ্ছে।
গ্রেপ্তার তালিকায় যারা রয়েছে, রামু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামশুল আলম মন্ডল, রাজারকুল ইউনিয়নের শফিকুল ইসলাম, চাকমারকুলের দেলোয়ার হোসেন, ফতেখারকুলের শাহ আলম, খুনিয়াপালংয়ের আবু তাহের টুনু, উখিয়া ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মকবুল হোসাইন মিথুন, উখিয়া আওয়ামী লীগের এম মনজুর, সিরাজুল বশর, দানু মিয়া চৌধুরী, চকরিয়া যুবলীগের অহিদুজ্জামান অহিদ, পেকুয়ার হাসান আল বশির, মাদু মেম্বার, মোস্তাক মিয়া, মহেশখালীর সাদ্দাম হোসেন, কুতুবদিয়ার গিয়াস উদ্দিন, লেমশীখালীর শ্রমিক লীগ নেতা নুরুল আমিনসহ মোট ৫৭ জন।
ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ১৮ জুন সকাল ৮টার দিকে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয় কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাবেক এমপি জাফর আলমকে। আদালত তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সাতটি মামলায় ১৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপরই চকরিয়ার মগবাজার এলাকায় ঝটিকা মিছিল বের হয়। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দাবি করেন, জাফর আলমকে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা হচ্ছে। এই প্রতিবাদে ঝটিকা মিছিলে নেতৃত্ব দেন জামাল উদ্দিন জয়নাল, তৌহিদুল ইসলাম ও এনামুল হক।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোঃ সাইফউদ্দীন শাহীন জানান, ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ অব্যাহত থাকবে। যারা জনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গেল ৬ মে কলাতলী সৈকত এলাকায় যুবলীগের মিছিলে অপ্রস্তুত অবস্থায় পড়ে পুলিশ। সেদিনও একদিনে ৩২ জন গ্রেপ্তার হয়। এরপর থেকেই জেলা প্রশাসনের নজরদারি ও কৌশলগত পদক্ষেপ বাড়ানো হয়।