স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় মাছের ঘের তৈরী নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে শিশুসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহতদের কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ মে) উপজেলার হিরণ ইউনিয়নের বর্ষাপাড়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানাগেছে, বর্ষাপাড়া গ্রামের স্থানীয় ইউপি সদস্য ইব্রাহিম ফকিরের সাথে একই গ্রামের মোকসেদ আলী ফকিরের দীর্ঘদিন ধরে জমিতে মাছের ঘের কাটা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই সূত্র ধরে শুক্রবার মোকসেদ আলী ফকিরের লোকজন ইউপি সদস্য ইব্রাহিম ফকিরের লোকজনকে মারধর করে। এই খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষে জালাল ফকির (৪৫), মেহেদী ফকির (২০), পলাশ ফকির (৩৫), আলামিন ফকির (৩০), রবিউল ফকির (২৫), রিয়াজ ফকির (২২),মিরাজ ফকির (৪৫), সুফিয়ান ফকির(২০), রফিকুল ফকির (৫৫), গাউস ফকির (৩৮), মনিরুজ্জামান ফকির (৪৫), আব্বাস আলী ফকির (৩৫), আকাশ ফকির (১৩), নাসির ফকির (২০) গুরুতর আহত হয়। গুরুতর আহতদের কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ইউপি সদস্য ইব্রাহিম ফকির বলেন, বিলে আমার একটি মাছের ঘের কাটা নিয়ে এলাকার মোকসেদ আলী ফকিরের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার আমার লোকজন মোকসেদ আলী ফকিরের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় মোকসেদ আলী ফকিরের লোকজন আমার লোকজনকে মারধর করে। আমি লোকজন নিয়ে বাঁধা দিতে গেলে মোকছেদ আলী ফকিরের লোকজন আমাদের উপরও হামলা চালায়। হামলায় আমার প্রায় ২৫ জন লোক আহত হয়েছে।
অপরদিকে, মোকসেদ আলী ফকিরের ছেলে আলামিন ফকির বলেন, ইউপি সদস্য ইব্রাহিম ফকির কিছুদিন আগে লোকজন নিয়ে জোর করে আমাদের জমিসহ কয়েকজনের জমিতে মাছের ঘের কাটতে ছিল। আমরা বাঁধা দিলে ঘের কাটা বন্ধ হয়। শুক্রবার ইব্রাহিম ফকির লোকজন নিয়ে আমাদের সেই জমিতে ঘের কাটতে গেলে আমরা বাঁধা দেই। এ সময় উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ি। সংঘর্ষে আমাদের কয়েকজন লোক আহত হয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে ইব্রাহিম ফকিরের বিচার চাই।
কোটালীপাড়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, এলাকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থেকে অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।