গাজী জয়নাল আবেদীন, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: দেশের একমাত্র কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র ও মৎস্য অভয়ারণ্য হালদা নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রকাশ্যে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের দায়ে নাজিমা ফুয়াদ নামের ড্রেজার মালিকে লাখ টাকা অর্থদন্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে রাউজান সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন আজাদীর প্রসিকিউশনে রাউজান উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিসান বিন মাজেদ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এই অর্থদন্ডাদেশ প্রদান করেন।
এর পূর্বে হালদা নদীতে রাউজান সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন আজাদী ও হালদা নৌ পুলিশের যৌথ অভিযান চলাকালে হালদা ও কর্ণফুলী নদীর মোহনা রাউজানের নোয়াপাড়া ইউনিয়নের কচুখাইন গ্রামের গণি মিয়ার ঘাট এলাকায় অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের সময় দুইজন শ্রমিকসহ ড্রেজারটি আটক করা হলেও মূলহোতা ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। আটককৃত দুই শ্রমিক হলেন মো. ইউসুফ ও মনিরুল ইসলাম। এ সময় দুজনকে হাতেনাতে আটকের পর ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে জরিমানার টাকা পরিশোধ করায় মুচলেকা নিয়ে আটককৃতদের ছেড়ে দেয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাউজান সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন আজাদী বলেন, এখন মা মাছ ডিম ছাড়ার সময় ঘনিয়ে এসেছে। এই সময় মা ডিম ছাড়ার উদ্দেশ্য হালদায় প্রবেশ করে। হালদার প্রবেশের মুখে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন ও ড্রেজারে কম্পনে মা মাছ হালদায় প্রবেশে বিঘ্নতা ঘটে। তাছাড়া নদীর গতিপথ পরিবর্তন, হালদার পাড় ভাঙ্গন ও মাছের কুম ধ্বংস হয়ে যায়। এতে হালদা জৈববৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। এই কারণে হালদায় বালু উত্তোলন, ইঞ্জিন চালিত নৌকা চলাচল ও মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ রয়েছে। হালদার মা মাছ ও জৈববৈচিত্র্য রক্ষায় আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।