হাতিয়া উপজেলা (নোয়াখালী): নোয়াখালীর হাতিয়া তমরোদ্দি ইউনিয়নের ক্ষিরোদিয়া গ্রামে শিশুদের ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে খতিজা খাতুন নামের এক অসহায় বিধবাকে পিটিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষরা। থানায় অভিযোগ দিলে শুক্রবার রাতে আবার তাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে প্রতিপক্ষ হামলাকারীরা। ভুক্তভোগী জখমী হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। জখমী বিধবা তমরোদ্দি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড ক্ষিরোদিয়া গ্রামের মৃত নুর ইসলামের স্ত্রী।
হাতিয়া থানায় জখমীর দায়ের করা অভিযোগে উল্লেখ করেন, গতকাল বিকেলে বাড়ির পাশে ছোটছোট ছেলেরা ফুটবল খেলাবস্থায় একজনে ভুক্তভোগীর নাতির গায়ে বল মারে। নাতির চিৎকার শুনে দাদি দৌঁড়ে এসে ছেলেদেরকে ডাক দিলে তাদের গার্ডিয়ানরা লাঠিসোঁটা এনে তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে। এসময় তার নাতি ও পুত্রবধূকেও বেধড়ক মারধর করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী অসহায় বিধবা বাদী হয়ে হাতিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন- তমরোদ্দি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড ক্ষিরোদিয়া গ্রামের দুলাল উদ্দিনের ছেলে কামাল উদ্দিন এবং কামাল উদ্দিনের স্ত্রী নাজমা ও তার ছেলে মিয়া।
স্থানীয়দের থেকে জানা যায়, থানায় অভিযোগ দায়েরের খবর পেয়ে হামলাকারী প্রতিপক্ষরা শুক্রবার রাতে বিধবার ঘরে ঢুকে তাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে অন্যান্য প্রতিবেশীরা জখমীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে ভর্তি করান।
স্থানীয় পল্লীচিকিৎসক আলী আফছার রাজু জানান, এ অসহায় বিধবা নারীর পরিবার দায়িত্বশীল কেউ না থাকায় তিনি সহ অন্যান্যরা জখমীর চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
জানা যায়, ভুক্তভোগী জখমী নারীর স্বামী মারা যাওয়ার পর সংসারে উপার্জনক্ষম আর কেউ না থাকায় স্থানীয় তমরোদ্দি বাজারে দিনমজুরের কাজ করে কোনোমতে সংসার চলে তার। একমাত্র অল্পবয়সী ছেলে হাতিয়া এবং চিটাগংয়ে ব্রিকফিল্ডে কাজ করে কিছু পয়সা পেলে সংসারে সাপোর্ট দেয়। ছেলের বিয়েরপর একমাত্র নাতি ফাহিম এবং পুত্রবধূসহ ঘরে বসবাস করেন তারা। ছেলে চিটাগং ব্রিকফিল্ডে কাজ করার কারনে ঠিকমতো বাড়িতে থাকতে পারেনা। এ সুযোগে প্রতিবেশী প্রতিপক্ষ এ হামলাকারীরা সবসময় ছুতানাতায় তাদের ওপর জুলুম করে। কথায় কথায় লাঠিসোঁটা নিয়ে মারতে আসে। গতকালের এ ঘটনায় আইনি সহযোগিতা পেতে ভূমিকা রাখারমতো এমন কোনো আত্মীয়স্বজনও নেই বলে জানান ভুক্তভোগী পরিবারটি।
এ বিষয়ে হাতিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ একেএম আজমল হুদা জানান, গতকাল বিকেলে বিধবাকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ পেয়েছি। রাতের বেলা আবার তাকে কুপিয়ে জখমের এজাহার পেলে মামলা রুজু হবে এবং আসামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।