কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি: তিস্তার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ও জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার তিস্তা পাড়ের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা সরাসরি শোনার জন্য আজ রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) কাউনিয়া তিস্তা রেলব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গণশুনানিতে উপস্থিত ছিলেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের নেতা নজরুল ইসলাম হক্কানি, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব এ কে এম তারিকুল আমিন, রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল, কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহিদুল হক সহ বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
গণশুনানিতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দারা তাঁদের দুঃখ-কষ্ট, বাস্তুচ্যুতির যন্ত্রণা, নদীভাঙনের ভয়াবহতা এবং পুনর্বাসন-সহায়তার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। জাতীয় নেতৃবৃন্দ তাঁদের বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং আশ্বাস দেন যে, এই সংকট নিরসনে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, "জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ছে তিস্তা পাড়ের মানুষের ওপর। এটি শুধু স্থানীয় নয়, জাতীয় সমস্যা। ইতিমধ্যে চীন সরকারের সাথে আমরা একটি চুক্তি করেছি। চীন সরকার দুই বছর সময় নিয়েছে। পরিকল্পনা দুই হাজার পঁচিশের মধ্যেই বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন তিনি।
আসিফ মাহমুদ বলেন, "তিস্তা পাড়ের মানুষ বছরের পর বছর অবহেলিত। স্থায়ী সমাধান ছাড়া এই সংকট কাটবে না। আপনাদের এই আন্দোলন ও সংগ্রামের কথা আমি সরকারের উচ্চ পর্যায়ে জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো ইনশাআল্লাহ। উত্তরবঙ্গের কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য দাম পাওয়ার জন্য কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণের আশ্বাস দেন এই উপদেষ্টা।
আক্তার হোসেন বলেন, "তিস্তা মহাপরিকল্পনা কল্পনায় আছে বাস্তবে নাই। এটাকে বাস্তবায়ন করতে হবে। ২০২৫ সালের মধ্যেই এই তিস্তা মহাপরিকল্পনার বাস্তবায়ন দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি তিস্তার পাশে শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলার আহবান জানান।
গণশুনানীতে অংশগ্রহণকারী সহ স্থানীয়রা আশা করছেন, এই গণশুনানির মাধ্যমে তাদের সমস্যা জাতীয়ভাবে আরও গুরুত্ব পাবে এবং সরকার দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।