ঢাকা
২৫শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বিকাল ৪:২৪
logo
প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৫

ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে গোপালগঞ্জের ৩ জনের মৃত্যু

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবিতে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার ৩ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। অভাবের সংসারে স্বচ্ছলতা ফেরানোর আশায় তারা লিবিয়া থেকে সমুদ্র পথে অবৈধভাবে ইতালি যাচ্ছিলেন। মর্মান্তিক এই মৃত্যুর সংবাদে ৩ যুবকের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন নিহতের স্বজনরা।

নিহতরা হলেন, উপজেলার রাঘদী ইউনিয়নের চরপ্রসন্নদী গ্রামের ওহাব খন্দকারের ছেলে সাত্তার খন্দকার (৪০), একই গ্রামের মেহেদী শেখের ছেলে আরাফসান ইসলাম আশিক (১৮) ও মোল্লাদী গ্রামের প্রয়াত আব্দুল মজিদ শেখের ছেলে রফিকুল শেখ (২৫)।

জানা গেছে, ছোট বেলায় মা-বাবা হারায় রফিকুল। এরপর থেকে চাচা জয়নাল শেখ তাকে কোলে পিঠে করে বড় করে তোলেন। চাচার পরিবারের স্বচ্ছলতা ফেরানোর স্বপ্ন নিয়ে ভিটে-বাড়ি ও সহায় সম্বল বিক্রি করে দালালদের হাতে ২০ লাখ টাকা তুলে দিয়েছিলেন চাচা। কিন্তু ইতালিতে যাওয়ার আগেই লিবিয়ার ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে রফিকুলের মৃত্যু ঘটে।

একই পরিনতি বরণ করেছে আরাফসান ইসলাম আশিক। ছেলেকে ইতালি পাঠানোর জন্য আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে ধার নিয়ে বাবা মেহেদী শেখ ১৭ লাখ টাকা তুলে দেন পার্শ্ববর্তী শ্রীজিতপুর গ্রামের রকমান হাওলাদারের ছেলে বাবু হাওলাদারের হাতে। লিবিয়া যাওয়ার পর পরিবারের সদস্যদের সাথে ৩ থেকে ৪ বার কথা হয়।

রফিকুলের চাচা মো. জয়নাল শেখ বলেন, স্বপ্ন পূরণ করতে ইতালি যাওয়ার জন্য নিজের ভিটে-বাড়ি ও সহায়-সম্বল বিক্রি করে ২০ লাখ টাকা দিয়েছিলাম। রফিকুলের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানাই।

নিহত আশিকের বাবা মেহেদী শেখ বলেন, ছেলেকে ইতালি পাঠানোর জন্য আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে ধার করে ১৭ লাখ টাকা জোগাড় করি। পরে পাশের গ্রামের রকমান হাওলাদারের ছেলে বাবু হাওলাদারের হাতে সেই টাকা তুলে দেই। লিবিয়া পৌছানোর পর ছেলের সাথে ৩/৪ বার কথা হয়েছে। পরে জানতে পারি লিবিয়ার ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে আমার ছেলে মারা গেছে। দালাল চক্রের অব্যস্থাপনায় আমার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। আমি বাবু হাওলাদারের শাস্তি চাই।

নিহত যুবক ছাত্তার খন্দকারের স্ত্রী লাবনী খন্দকার বলেন, ‘লিবিয়া পৌঁছানোর পর আমার কাছ থেকে ৩ দফা টাকা নিয়েছে দালাল চক্র। ইতালি পৌঁছে দিতে ২৪ লাখ টাকা দেওয়ার মৌখিক চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু দালাল চক্র আমার কাছ থেকে ২৬ লাখ টাকা নিয়েছে। আমি দ্রুত আমার স্বামীর মরদেহ দেশে ফেরত আনার দাবি জানাচ্ছি।

জনশক্তি ও কর্মসংস্থান ব্যুরোর গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ষষ্ঠীপদ রায় বলেন, এমন ঘটনা বারবার ঘটছে। গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর ও মাদারীপুর জেলায় দালাল চক্রের একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক রয়েছে। এ চক্রের তালিকা সহ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমরা আইনশৃংখলা বাহিনী সহ নির্বাহী বিভাগের কাছে সুপারিশ করে প্রতিবেদন পাঠিয়েছি। দালালদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হলে তারা এ কাজ থেকে বিরত হবে।

মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসনীন আক্তার বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ
logo
প্রকাশকঃ অধ্যাপক ড. জোবায়ের আলম
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ তাপস রায় সরকার
মোবাইল: +৮৮০ ১৭৩৬ ৭৮৬৯১৫
কার্যালয় : বিটিটিসি বিল্ডিং (লেভেল:০৩), ২৭০/বি, তেজগাঁও (আই/এ), ঢাকা-১২০৮
মোবাইল: +880 2-8878026, +880 1736 786915, +880 1300 126 624
ইমেইল: tbtbangla@gmail.com (online), ads@thebangladeshtoday.com (adv) newsbangla@thebangladeshtoday.com (Print)
বাংলাদেশ টুডে কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বে-আইনী।
Copyright © 2025 The Bangladesh Today. All Rights Reserved.
Host by
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram